* শুধু সংস্কার নয়, প্রয়োজন গণহত্যার বিচারও সম্পন্ন করা-এডভোকেট হেলাল

স্টাফ রিপোর্টার : নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, চলমান সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নানামূখী সমালোচনা করেছেন। এসময় তিনি অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বিভিন্ন পরামর্শও প্রদান করেন। মান্না বলেন, সচিবালয় থেকে শুরু করে নিম্ন স্তরে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড পর্যায়ে শাসন ও ক্ষমতার পরিবর্তন আনতে হবে। নতুবা কোন পরিবর্তনের সুফল পাওয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান কয়েক দিনের ব্যবধানে সংবিধান পরিবর্তন করে দিয়ে বাকশাল কায়েম করতে পেরেছেন, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখন কেন জনগণ যেভাবে চায় সেভাবে সংবিধান পরিবর্তন করা যাবে না? অবশ্যই জনগণের ম্যান্ডেট মেনে নিতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূইয়া'র সভাপতিত্বে গণশক্তি সভার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত 'শাসন ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন ও নির্বাচন'- শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ নিজ ইচ্ছায় বসেননি, তাদেরকে সরকারে বসানো হয়েছে। অথচ কোন কোন দল এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে! কেন এসব হুমকি-ধামকি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এই সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে আসেনি, রাখবে না, রাখতে পারবেও না। এই সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের চেষ্টা করছে। তবে শুধু সংস্কার নয়, প্রয়োজন গণহত্যার বিচার কাজও সম্পন্ন করা। রাজনৈতিক সরকার গণহত্যার বিচার রাজনৈতিক বিবেচনায় করবে, ফলে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে না এবং বিচার জনমনে প্রশ্নবৃদ্ধি হবে। এজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল দায়িত্ব ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থপাচার এবং গণহত্যার সাথে জড়িত ও মদদদাতাদের বিচার করা এবং রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করলে বিপ্লব ব্যর্থ হবে। বিপ্লবের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহায়তা করা।

গণশক্তি সভার সভাপতি সাদেক রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আমিনুল করিম। এতে প্রবন্ধকার ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর প্রতীক কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফেরদৌস আজিজ, মেজর (অব.) রেজাউল হান্নান শাহীন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাবিবুর রহমান, সাংবাদিক কাজী ফারুক, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক আলাউদ্দিন কামরুল প্রমুখ।

শেষ হচ্ছে প্রথম পর্বের ইজতেমা

(৮-এর পৃ: ৪-এর ক: পর)

করেন। এবারের ২য় ধাপের ইজতেমায় ২২টি জেলার হাজার হাজার মুসল্লি অংশ নিয়েছেন, যারা ৪০টি খিত্তায় ভাগ হয়ে ধর্মীয় দিকনির্দেশনা গ্রহণ করছেন। ইজতেমার মাধ্যমে মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ববোধ আরও দৃঢ় হচ্ছে বলে মত প্রকাশ করেছেন দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা। আজ মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপ। এ উপলক্ষে মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে রেলওয়ে বিভাগ ১১টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। বনলতা, কক্সবাজার এক্সপ্রেস, সুবর্ণলতা, পর‌্যটক এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা ব্যতীত অন্যান্য ট্রেন টঙ্গি স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।

বিশ্ব ইজতেমায় যৌতুকমুক্ত ২৩ বিয়ে অনুষ্ঠিত : টঙ্গীতে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের ২য় ধাপে মঙ্গলবার বাদ আসর ২৩টি যৌতুক বিহীন বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। ইজতেমার বয়ানের মিম্বারে বর ও কনের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে বিবাহ পড়িয়েছেন। এর আগে বিবাহে কনের এজিন (সম্মতি) নিয়ে মিম্বারে এসে অবস্থান নেন অভিভাবকরা। বিবাহ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে নব দম্পতির জন্য দোয়া করা হয়।