নির্বাচন যত দেরি হবে, দেশ তত বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে মন্তব্য করেছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকার সোমবার সকালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পনের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, কেনো নির্বাচন দিচ্ছে না সেই উত্তর তো তারা দিতে পারবেন। সেই উত্তর তো আমি দিতে পারব না। কিন্ত সেটা যত দেরি করবে দেশ তত বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে, গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হবে, দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ক্ষতিগ্রস্থ হবে, দেশের দ্রব্যমুল্যের বিষয়টি দিন দিন আরও খারাপের দিকে যাবে।
জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরামের নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের নিয়ে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সকালে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করেন এবং মরহুম নেতার রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।
এ সময়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমেদ আজম খান, কর আইনজীবী ফোরামের নবনির্বাচিত সভাপতি মাহবুবুস সালেকীন, সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের মেসবাহ উপস্থিত ছিলেন। কবরে পুস্পমাল্য অর্পনের পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আমির খসরু।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, দেশের মানুষের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে দ্রুততম সময়ে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে। একেকটা দিন যাচ্ছে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যতিত, একেকটা সমস্যা বাড়ছে। এর থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো গণতান্ত্রিক অর্ডারের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে জবাবদিহি দায়বদ্ধ সরকার গঠন করে যাদের পলিটিক্যাল ওয়েট থাকবে, যাদের পলিটিক্যাল মোবিলাইজেশন ক্যাপাসিটি থাকবে, যাদের পেছনে জনগনের সমর্থন থাকবে তারাই এই সমস্যার সমাধান করতে পারে।
তিনি বলেন, পুলিশ, র্যাব, সরকারি কর্মকর্তারা জনগনের সমর্থন ব্যতিত আপনি কোনো কিছুর সমাধান করতে পারবেন না। একটি জনগন সমর্থিত সরকার যখন দেশ পরিচালনা করে সেই সমর্থনকে নিয়েই কিন্তু দেশ পরিচালিত হয়, সেই সমর্থনকে নিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে, দেশের সরকারি কর্মকর্তারা কাজ করে। সেটা আজকে অনুপস্থিত, সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে আমাদেরকে তুলে ধরতে হবে।
নির্বাচন কি ডিসেম্বরের মধ্যে কি সম্ভব কিনা জানতে চাইলে আমির খসরু বলেন, নির্বাচন জুন মাসের মধ্যে সম্ভব। নির্বাচন কমিশন যেটা বলছে, তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে কোনো সন্দেহ প্রকাশ করছে না। নির্বাচনের বিষয়টা তো সরকারকে বলতে হবে। সরকারের পলিটিক্যাল উইল থাকতে হবে, ইচ্ছা থাকতে হবে এবং সেট্রা অপেক্ষায় জনগণ আছে। আর বাংলাদেশের জনগণ ছাড়াও যারা স্টেক হোল্ডার আছে দেশের ভেতরে দেশের বাইরে যারা আছে তারা সিদ্ধান্ত নিতে অপেক্ষা করছে কারণ তাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে যে, নির্বাচিত সরকারের অধীনে হলে তারা শর্ট টার্ম-মিড টার্ম-লং টার্ম যে সব প্ল্যান-প্রোগ্রাম তাদের আছে তা তারা বাস্তবায়ন করতে পারবে এজন্য তারাও অপেক্ষা করছে।