নাটোর-৩(সিংড়া) আসনে বিএনপি থেকে গ্রীন সিগন্যাল পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপি’র সদস্য অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনু। তিনি সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সহধর্মিণী আরিফা জেসমিন কনিকার আপন চাচা। গত ১২ অক্টোবর রাত ৮:৫৩ মিনিটে মুঠোফোনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অধ্যক্ষ আনুকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে গ্রীন সিগন্যাল দিয়েছে বলে দাবি তার অনুসারীদের।
আনোয়ারুল ইসলাম আনু আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের আপন চাচা শ্বশুর। তিনি জুনাইদ আহমেদ পলকের স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকার আপন চাচা। বর্তমানে তিনি জেলা বিএনপির সদস্য। এর আগে তিনি সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হিসেবে কয়েকমাস দায়িত্ব পালন করেন।

আনোয়ারুল ইসলাম আনু আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের আপন চাচা শ্বশুর।
এদিকে গ্রীণ সিগন্যালের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়ায় সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে সিংড়া উপজেলার বিএনপির একাংশের নেতাকর্মী। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী অভিযোগ করেন, আনোয়ারুল ইসলাম আনু দলের জন্য কিছুই করেননি। দলে তার কোনো অবদান নেই।
বিগত ১৭ বছরে বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় কোনো মামলা হয়নি, জেল খাটেননি। এসি রুমে বসে জীবনযাপন করা ব্যক্তি কিভাবে বিএনপির গ্রীন সিগন্যাল পায়? আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রভাবশালী প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের প্রভাবে তার নামে কোনো মামলা হয়নি। সেরকম একজন ব্যক্তিকে সিংড়াবাসী ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মানবে না।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী দাউদার মাহমুদ জানান, গ্রীন সিগন্যালের বিষয়টি আমি জানিনা। বিএনপি থেকে তাকে (আনু) গ্রীণ সিগন্যাল দিলে আমাকে অবশ্যই রেড সিগন্যাল দেবে। দল থেকে আমাকে এখন পর্যন্ত কোন সিগন্যাল দেওয়া হয়নি। আমি বিএনপির একজন আদর্শিক সৈনিক হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব যে সিদ্ধান্ত নেবেন দলের জন্য আমরা সেভাবেই কাজ করব। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য ও নাটোর- ৩ (সিংড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আনোয়ারুল ইসলাম আনু বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে ফোন করে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন। দল এবং আত্মীয়তা অন্য জিনিস। আত্মীয়তা থাকতেই পারে, সেটি বিষয় নয়। আমি দলের জন্য কি করি সেটিই বড় বিষয়। আমি যখন থেকে বিএনপির রাজনীতি করি, তখন অনেকের জন্মই হয়নি।