জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ দলকে নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল রাজধানীর শাহবাগ। ইতোমধ্যে গণজমায়েত করে শাহবাগ অবরোধ করে রেখেছেন ছাত্র-জনতা।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত থেকেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কর্মসূচি চলছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)। আর তাদের এই কর্মসূচিতে বিএনপিকে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন দলটির আরেক নেতা সারজিস আলম।

শুক্রবার (৯ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ আহ্বান জানান তিনি।

এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক ফেসবুকে লেখেন, ‘বিএনপি এবং তার অঙ্গসংগঠন ব্যতীত সকল রাজনৈতিক দল এখন শাহবাগে। বিএনপি এলে জুলাইয়ের ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। ঐক্যবদ্ধ শাহবাগ বিএনপির অপেক্ষায়। আজকের এই শাহবাগ ইতিহাসের অংশ এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতির মানদণ্ড। ’

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আজ বিকেল ৪টা ৪৫ নাগাদ শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন ছাত্র-জনতা। এর আগে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে সমাবেশ করে এনসিপি। সেখানে শাহবাগ মোড় অবরোধের ঘোষণা দিয়ে দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত এনসিপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

এদিকে এনসিপির এই কর্মসূচিতে এখনবধি সাড়া দেয়নি বিএনপি। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবির বিষয়টি জনগণের ওপর ছেড়ে দিয়েছে দলটি। শুক্রবার এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ও সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমরা বিএনপি হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক না। এ সিদ্ধান্তের মালিক জনগণ। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে- কে নির্বাচন করতে পারবে, কে পারবে না। ’

এমন পরিস্থিতিতে বিএনপিকে শাহবাগে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানালেন এনসিপি নেতা সারজিস আলম।

প্রসঙ্গত, জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি উঠছে। তবে বুধবার (৭ মে) গভীর রাতে চুপিসারে আওয়ামী লীগ আমলের দুইবারের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের প্রেক্ষাপটে দলটির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জোরদার হয়। জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন প্লাটফর্ম এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছার বিষয়েও প্রশ্ন তোলে। তারই প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে রাজধানীর রাস্তায় নেমেছেন জুলাই বিপ্লবের পক্ষের লোকজনরা।