আন্দোলনের সঙ্গে শিবির প্রথম দিন থেকেই ছিল --- ঢাবি শিবির সভাপতি
এস এম ফরহাদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি। জুলাই আন্দোলন এবং অভ্যূত্থানের ছিল তার এবং ছাত্রশিবিরের আপোসহীন ভূমিকা। জুলাই আন্দোলনের বছরপূর্তি উপলক্ষে আন্দোলন এবং আন্দেলন পরবর্তী সময়ের মূল্যায়ন নিয়ে দৈনিক সংগ্রামের সাথে কথা বলেছেন তিনি। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মধুর ক্যান্টিনের সামনে দাঁড়িয়ে তার সাথে কথা বলেন ইবরাহীম খলিল।
প্রশ্ন : কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে বৈষম্য আন্দোলন ঠিক কখন থেকে আন্দোলনের সাথে জড়িয়েছি শিবির।
এস এম ফরহাদ : ছাত্র শিবিরের কানেকটিভিটিটা আসলে এমন না। ক্যাম্পাসে যারা একভিজম করেছে তাদের সাথে শিবির সমন্বয় সব সময় ছিল। যেমন ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, সেখানে নূরুল হক নূর, রাশেদ এবং সে সময়ের যে সভাপতি সংসদ মেম্বার, আলী আহসান মুহাম্মদ জুনায়েদ তাদের সাথে সমন্বয় করতো। সে সময় নিয়ে রয়েছে বিস্তর-বিরাট গল্প। আমি আমার স্মৃতিটা বলি ...। গত বছর দেখবেন অর্থাৎ ২০২৪ সালের এন এস ফ্যাকাল্টিতে এবং ল ফ্যাকাল্টিতে রমযানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। হামলা করার পর এটা নিয়ে আন্দোলন করতে হবে। ওই দিন রাতে আমার সাথে মিটিং হয়। আমি ২৪ রমযানের কথা বলছি। নাহিদ ভাইয়ের সাথে। তার টিম নিয়ে আবার আখতার ভাই ও তার টিম নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে। তখন আমি ঢাবি শিবিরের সেক্রেটারির দায়িত্বে। কথা বলছিলাম যে কিভাবে এটা ট্যাকেল দেওয়া যায়। কি কি কর্মসূচি নেওয়া যায়। তারপর ২০২৩ সালে দেখবেন বড় একটা প্রোগ্রাম হয়েছে। থ্রিবেড়া সেন্ড প্রোগ্রাম। ওদের লিডিংয়ে। ওটাতেও প্ল্যানিংয়ে সব কিছু মিলিয়ে নাহিদ, আসিফ এবং আখতার ভাইয়ের সাথে আলাপ করেই তাদের কো-অপারেট করেছি। তারপর যেমন এনএস ফ্যাকাল্টির ওপর যখন আক্রমণ চলে তখন আখতার ভাই আমাকে কল দিয়েছেন, ফরহাদ তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা লাগবে--। আসো চিকিৎসার ব্যবস্থা করো। আমি আছি মেডিকেলে। আমি ওনার ফোন পেয়ে যাই। এই রকম সমন্বয়টা সব সময় ছিল। যে কোন এ্যাকিভিজমে এটা হতো। কখনো কখনো দূরত্ব তৈরি হয়েছে। পরে আবার একসঙ্গে কাজ করেছি।
প্রশ্ন : কোটা সংস্কার আন্দোলনে কি আপনারা ছিলেন? বা কিভাবে ছিলেন?
এস এম ফরহাদ : কোটা সংস্কার আন্দোলনেও আমরা ছিলাম। কোটা বাতিলের রায় যেদিন হয়েছে ২৪ সালের ৫ জুন। সেদিনও আমাকে ফোন দিয়েছে অনেকগুলো। আমি ফোন রিসিভ করতে পারিনি। তখন আমার সেক্রেটারিয়েটের মিটিং চলে। যখন ফোন ব্যাক করে বলি যে কি ব্যাপার ? তখন বলে যে আমরা আন্দোলন করবো তাই ফোন দিয়েছি। এটা একেবারে প্রথম দিন থেকে ছিল।
প্রশ্ন : জুলাইয়ের ১,২,৩,৪ তারিখের আন্দোলনের কর্মসূচিগুলো কিভাবে আপনারা পালন করেছেন ?
এস এম ফরহাদ : এগুলো যেটা হতো। আগের দিন তারা বলতো যে আমরা এরকম চিন্তা করছি। আমরা সম্মতি দিলে ঘোষণা হতো। আসলে আমরা এগ্রি-ই করতাম। সেদিন আমরা আমাদের ম্যান পাওয়ারদের বলে দিতাম। আমাদের প্ল্যান ছিল যে আমরা বেশি লোক একদিনে দেবো না। আস্তে আস্তে বাড়ছে সেটা বোঝানোর জন্যই এই টেকনিক। শুরুর দিকে আখতার ভাই আমার সাথে যোগাযোগ করতো। যেমন প্রথম দিন যখন মিছিলটা যায়, ২ তারিখে। মিছিলটা শাহবাগ মোড়ে যায়। যাওয়ার সময় কোন দিক দিয়ে যাবে, কেমনে যাবে এই দিক দিয়ে যাবে কি-না। পুলিশ কোন দিকে আছে। আখতার ভাই আমার সাথে ফুললি কানেকশনে ছিল। বিকালে কয়টায় ক্লোজ করবে মিছিল, সেগুলো আমরা আলাপ করেই সিদ্ধান্ত নিতাম যে ওমুক জায়গাতে ক্লোজ করবো। কারণ আমাদের একটা পেরেশানি থাকতো যে, খাবার দেওয়া, স্যালাইন ম্যানেজ করা। পানির ব্যবস্থা করা। তারপর আমার লোক কতক্ষণ থাকবে। মাঝে আমার লোক চলে গেলে আবার লোক দিয়ে ব্যাকআপ দিতে হবে। এগুলো রেগুলার হতো। তারপর আরেকটা মিছিল গেছে সাইন্সল্যাব দিয়ে। নীলক্ষেত দিয়ে ঘুরে কাঁটাবন দিয়ে শাহবাগ গেছে। আরেকটা মিছিল গেছে সুপ্রীম কোর্টে। এসব মিছিলে অলওয়েস কানেক্টেট ছিলাম। মিছিলটা কোন দিকে যাবে। এসবে আমাদের ইনফরমার থাকতো। শুরুর দিকে এভাবে সমন্বয় হতো প্রত্যেটা মিছিল এবং প্রত্যেকটা ইয়েতে। বাংলা ব্লকের যখন ঘোষণা দিল, তখনও আমরা ছিলাম। যখন কেউ না আসতো, গরমের দিন বিরক্ত হয়ে যায়। তখন কি করতে হবে ? আমাদের লোকেরা থাকবে। বাংলা ব্লকেডেরও আগে, যখন অবরোধগুলো চলতে ছিল তখন প্রথমে দুপুরের আগে হতো। তখন নাহিদ ভাইকে বললাম সকালে কষ্ট হয়ে যায়। গরমে লোকজন চলে যেতে চায়। তারপর দুপুরে খাবার দেওয়া কষ্টকর। বাজেট ইস্যু। সবকিছু মিলে প্রোগ্রামটা বিকেলে দেন। বিকালে দিলে ঠাণ্ডা থাকবে। কেউ চলে যাবে না। রাত পর্যন্ত চলবে। পর থেকে আমরা বিকেলে করি।
প্রশ্ন : ১ জুলাই তো কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আবার যখন কর্মসূচি থাকতো না যেমন ২,৩,৪ জুলাই তখন আপনারা আন্দোলনটা কিভাবে করতেন ?
এস এম ফরহাদ : শুরুর দিকে ওনারা চিন্তা করতো আইডিয়া, আমরা সম্মতি দিলে তা বাস্তবায়ন হতো। আর দ্বিমত করলে দ্বিমতটা মাথায় রেখেই----- ইয়েটা করতো। তখন ওনারা ওনাদের নেটওয়ার্ক দিয়ে প্রোগ্রাম দিয়ে বাস্তবায়ন করতো। আমরা আমাদের টিম দিয়ে অন্য কাজগুলো করতাম। শুরুর দিকটা এভাবে চলে। আর ক্রিটিক্যাল সময় যখন এসে গেছে, তখন আমাদের দায়িত্ব নিতে হয়েছে। আমাদের খরচ-টরচ এবং সাপোর্ট দিতে হয়েছে। যেমন : রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি কর্মসূচি। এটা ছিল ১৪ তারিখ। ১৩ তারিখ সন্ধ্যা মাহফুজ ভাই ফোন দেয়। কর্মসুচি দেবো কি করা যায় ? আমি বললাম যে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেন। তখন বললো, কেন ? আমি বলি যে সর্বশেষ রাষ্ট্রের সুপিরিয়র প্রধানকে শেষ বারের মতো একবারের জন্য হলেও জানাতে চাই। আমরা একটা ফরমালিটির মধ্য দিয়ে যেতে চাই। মাহফুজ ভাই বললো তাহলে ডিসকাস করে দেখি। তারপর তারা ডিসকাস করলো অনেকক্ষণ। তারপর রাতে আমাকে ফোন দিয়ে বললো। আমরা এই কর্মসূচি দিলাম। এখন আপনারা স্মারকলিপিটা ম্যানেজ করে দেন। এরপর আমি আমার এক টিম মেম্বারকে বললাম। তিনি স্মারকলিপিটা টাইপ করলো। এরপর মাহফুজ ভাইকে রাত তিনটা বাজে ফোন দিয়ে বললাম ভাই দেখেনতো। তারপর দেখলো এবং বললো যে আল্টিমেটাম ৭২ ঘন্টা দিয়েছেন সেটা আরও কমিয়ে দেন। পরে আল্টিমেটামটা কমিয়ে দিলাম। এরপর আমরা স্মারকলিটির কপি ৬৪ জেলার দায়িত্বশীলদের পাঠিয়ে দিলাম। তাতে স্বতঃস্ফূর্ত মনে হলে। যিনি লিখেছেন তাকে ফোন দিয়ে বললাম এটা তুমি একটু ড্রাইভে রাখো। এটা আমরা পাবলিক করে দেই। তাতে মানুষ এখান থেকে না নিলেও বুঝবে যে এটা স্বতঃস্ফূর্ত হয়েছে। পরে ৬৪ জেলাতে বাস্তবায়িত হয়েছে।
প্রশ্ন : আন্দোলনের সময় সরকার যখন নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয় তখন আপনাদের কানেক্টিভিটিটা কেমন ছিল ?
এস এম ফরহাদ : নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেবে এটা আমাদের মধ্যে আগেই আশংকা ছিল। আমাদের জেলা শাখাগুলোতে অফলাইন মোবাইল থাকবে। আমরা নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়ার ১০/১৫দিন আগে, যেহেতু জানতাম নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিতে পারে, সেদিক থেকে আমি আমাদের খলিল ভাই নামে এক স্টাফ ছিল, তাকে বললাম আমাদের কিছু মোবাইল লাগবে এবং কিছু সিম লাগবে।তিনি নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়ার ৩/৪দিন আগে তার আরেক কলিগ মামুন আব্দুল্লাহ নামের ভাইয়ের মাধ্যমে পাঠায়। এর মুরব্বির নামে নাকি সিমগুলো কিনছে। তখনতো ফিঙ্গার দিয়ে কিনতে হতো। আমরা আগেই কিনে রাখি অনেকগুলো সিম। যেদিন নেটওয়ার্ক বন্ধ করে আমি একটা নেই। সিবগাত ভাইকে একটা দেই। ম্াহাদি ভ্ইাকে একটা দেই। আসিফকে একটা দেই। সিবগাত ভাই সব জেলা শাখাকে একটা করে কেনার পরামর্শ দেন। সিবগাত ভাই কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয় করেন।
প্রশ্ন : হল বন্ধ করার পর কিভাবে আন্দোলন চালিয়ে নেন ?
এস এম ফরহাদ : হল বন্ধ হওয়ার পর আমাদের একটা অংশকে বাসাগুলোতে রেখে দেই। আর কাউকে কাউকে আত্মীয় স্বজনের বাসায় উঠতে বলি। এর বাইরে যারা ছিল তাদের বাড়িতে চলে যেতে বলি। এলাকায় যে জেলায় বাড়ি সেখানে জেলা শহরে আন্দোলনটা করতে বলি। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে বলি। হলগুলো বন্ধ হওয়াতে প্লাস পয়েন্ট হয়েছে। ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থীরা যখন স্ব স্ব এলাকায় গিয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাঠে নেমেছে, তাতে আন্দোলনটা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রশ্ন : কারফিউ যখন ঘোষণা করা হলো তখন আপনাদের সমন্বয়টা কেমন ছিল?
এস এম ফরহাদ : কারফিউ ঘোষণার পরতো অবস্থা খুবই খারাপ। অফলাইন মোবাইলে চলতো। সিবগাত উল্লাহ ভাই সমন্বয় করতো। কোন স্পটে কে ছিল তার নাম্বারটা সেভাবেই সেফ করা ছিল। নতুন মোবাইলের সিম নাম্বারটা যা কারো কাছে নাই। নতুন সিম নতুন মোবাইল। সেখানে সিম নাম্বার পরিবর্তন হতো। সেখানে স্পট ধরে ধরে দায়িত্ব দেওয়া থাকতো। দশ-বারোটা স্পট ধরে ধরে একজন কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল দায়িত্ব পালন করতেন। আবার কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলদের আবার আরেকজন সমন্বয় করতেন। আবার তারা যে ফিল্ডে ছিল তারা ওই ফিল্ডের আশপাশের মানুষ, স্কুল কলেজকে সমন্বয় করতেন। এভাবে টাইমিংগুলো মিলানো হতো। কারণ নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকার কারণে টাইমিং মেলানোটা প্রয়োজন ছিল। নয়তো মুশকিল হতো।
প্রশ্ন : মার্চ ফর ঢাকা কিভাবে সমন্বয় করা হলো ?
এস এম ফরহাদ : মার্চ ফর ঢাকাতো ওরা একদিন পরে দিয়েছিল। পরে সাদিক কায়িম ভাই ফোন করে বললো যে একদিন পরে দিয়েছো কেন ? শ্রমিক নারী এসব কিছুতে যাওয়া দরকার নাই একদিন এগিয়ে নিয়ে আসো। সিনিয়ররা পরামর্শ দিলো। অন্যান্য অংশীজনরাও পরামর্শ দিলো। পরে সবার পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে তারা একদিন এগিয়ে নিলে এলো ‘মার্চ টু ঢাকা’। পরে রাতে আব্দুল হান্নান মাসউদ স্পটে থেকেই ফেসবুকে ঘোষণা দিয়েছে। আমি ফোন দিলাম যে তুমি কেন এই ঘোষণা দিলা। একটু সময় নেওয়া দরকার ছিল। মাসউদ বলে যে ভাই-- সবাই ফোন দিচ্ছিল তো, তাই দিয়ে দিয়েছি। পরে আমরা কেন্দ্রের মিটিং করলাম। মিটিং করে আমরা স্পট ঠিক করলাম। ১০টার মতো স্পট ঠিক করলাম বাছাই করে। বললাম যে এগুলো হাতে নিতে পারলে মোটামুটি সুবিধা করা যাবে। এসব স্পট ঠিক করে কতগুলো আমাদের কাছে রাখি, কিছু স্পট জামায়াতকে দেই। আবার ছাত্রদলকে পাঠাই। তাদের কাছে পাঠাই ছাত্রদলপন্থী দুজন সাংবাদিকের মাধ্যমে। তারা বলছে যে শিবির থেকে দিয়েছে। তখন তারা রিসিভ করেছে। পরে ওই স্পটগুলোকে কেন্দ্র করেই প্ল্যান করা। একদম স্পট থেকে টাইমিংগুলো মেইনটেন করা। কিন্তু কিছু জায়গায় আমরা ব্যর্থও হয়েছি। যেমন শাহবাগ দখল করাটা আমরা ঠিক সময়ে পারিনি। দুপুর হয়ে গেছে। কোন জায়গায় আগেভাগেই হয়ে গেছে। যেমন উত্তরা আগেভাগে হয়ে গেছে। সকল মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে তা সম্ভব হয়েছে।
প্রশ্ন : কখন জানতে পারলেন শেখ হাসিনা পালিয়েছে ?
এস এম ফরহাদ : ইন্টারনেট চালু হওয়ার একটু আগে। আমার কাছে খবর আসছিল বিভিন্ন সোর্স থেকে। যে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দিবে। যখন ইন্টারনেট ওপেন হলো তখন নিশ্চিত হলাম যে খবর নিশ্চিত। আমাদের সাথে কথা ছিল শাহবাগ রিকভার করা। আমরা মনে করেছিলাম যে শাহবাগ রিকভার করতে পারলে আমরা সফল হবো।
প্রশ্ন : শেখ হাসিনার পালানোর খবর শোনার পরের অনুভূতি বলেন।
এস এম ফরহাদ : পরের অনুভূতি হলো আমরা জায়নামাযে বসে কান্নাকাটি করেছি। বাসায় গিয়ে আমরা ৫/৭ জন একসাথে অনেকক্ষণ কান্নাকাটি করেছি। দোয়া করেছি আল্লাহর কাছে। সিজদায় পড়ে হাউমাউ করে সবাই কান্নাকাটি করেছি। শোকরিয়া আদায় করে, নামায পড়ে তারপর আমরা আবার বের হয়েছি।