বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা'ছুম বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে উজ্জীবিত হতে হবে। অতীতের সকল নির্বাচনী পদ্ধতি পরিবর্তন করে নতুন রুপে নির্বাচন করতে হবে। কেউ যেন প্রভাব খাটিয়ে, কালো টাকা খরচ করে, ভোট কেন্দ্র দখল করে ফলাফল পাল্টাতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। একজন প্রার্থীকে দক্ষ, সৎ, মিষ্টভাষী হতে হবে। মানুষের নিকট যেতে হবে। প্রতিশোধ নেয়ার প্রবণতা পরিহার করতে হবে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে মূল কাজ হলো প্রার্থীদেরকে নির্বাচনমুখী হওয়া। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সময়মত কাজ করা। নচেত উদ্দেশ্য হাসিলের সংকটে পরার সমুহ সম্ভবনা থাকবে।
শনিবার রাজধানীর আলফালাহ মিলনাতনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে ঢাকা মহানগরী অঞ্চল এবং চাঁদপুর জেলার সকল আসন প্রার্থী, আসন পরিচালক ও আসন সদস্য সচিবদের নিয়ে দুই দিনব্যাপি লিডারশীপ ট্রেনিং প্রোগ্রামের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাওলানা এটিএম মা'ছুম আরো বলেন,আল্লাহ তা'আলা দুনিয়াতে লিডার পাঠিয়েছেন, একজন লিডারের কাজ হলো কর্মী তৈরি করা। বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেশে নরকের পরিবেশ বিরাজমান ছিল। এর একমাত্র কারণ হলো সৎ নেতৃত্বের অভাব। জামায়াতে ইসলামী সৎ নেতৃত্বের মাধ্যমেই জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, এই কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিবন্ধকতা হিসাবে ফ্যাসিষ্ট পতিত আওয়ামী লীগ, প্রতিবেশী রাষ্ট্র এবং ষড়যন্ত্রকারীরা নানানভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরকে সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে সামনে অগ্রসর হতে হবে।
নির্বাচনের কাজকে ইকামাতে দ্বীনের কাজ হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচনের কাজকে দাওয়াতি কাজের অংশ হিসাবে শহরে, গ্রাম-মহল্লায় ব্যাপকহারে চালিয়ে যেতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে ময়দানে টিকে থাকতে হবে এবং ইসলামের সুমহান আদর্শ জনগণের নিকট ফুটে তুলতে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার কোন বিকল্প নেই।
সভাপতির বক্তব্যে ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ট্রেনিং হলো একজনকে পথ দেখানো, গাইডলাইন প্রদান করে সামনে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা। ময়দানকে সামনে রেখে আমাদের চলতে গেলে সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে, সমস্যা সমাধানের কৌশল রপ্ত করতে হবে। আজকের ট্রেনিংয়ের শিক্ষা কাজে লাগিয়ে ময়দানে অবদান রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে আসন প্রার্থীকে ৪টি কাজ সম্পন্ন করতে হবে ১. এলাকার লোকদের নিয়ে বসা ২. টিম গঠন করা ও কাজে লাগানো ৩. এলাকার জনগণের মাঝে নির্বাচনী ঝোঁক তুলতে হবে ৪. তৃণমূলে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা। কোয়ালিটি টাইম দিতে হবে, শ্রম দিতে হবে, মেধা দিয়ে কাজ করতে হবে।
২ দিনের লিডারশীপ ট্রেনিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দীন, আবদুস সাদেক ভূইয়া ও মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত প্রমুখ।