বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা: জামায়াতে ইসলামির কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ডক্টর শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন আমরা আল্লাহর রহমত ও মানুষের ভালোবাসা নিয়ে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এই কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের নমুনাই হলো সমাজ সংস্কার মূলক কাজ করা। মানবতার কল্যাণে কাজ করা নামাজ রোজার মতইদ একটা ইবাদত। আল্লাহর এই নির্দেশ পালন করতে গিয়ে আমরা বহু লোককে কাজের ব্যবস্থা করে পুনর্বাসন করেছি। প্রশিক্ষণ দিয়ে সেলাই মেশিন দিয়েছি, প্রায় ২০০ পরিবারের মধ্যে ঘর মেরামতের ব্যবস্থা করেছি। তিনি ১৩ই সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল দশটায় বাউফল উপজেলা জামায়াত অফিসে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য সেলাই মেশিন উপহার প্রদান উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্য একথা বলেন।

বাউফল উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোঃ ইসাহাক মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি অধ্যাপকের বি এম সাইফুল্লাহ, উপজেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মোহাম্মদ খালিদুর রহমান, মুফতি মাওলানা মোঃ জাকির হোসেন, উপজেলা নায়েবে আমির,মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম।

ড. মাসুদ আরো বলেন, ডানপন্থী ইসলামী দলের অগ্রগতি দেখে একটি দলের টেনশন শুরু হয়েছে। তাদেরতো টেনশন হওয়ার কথা ছিল চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব বৃদ্ধি হওয়ার কারণে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের বিজয় দেখে পার্শ্ববর্তী একটি দেশের টেনশন শুরু হয়ে গেছে। যারা বিজয় লাভ করার পর একটা মিছিল কিংবা একটা মিষ্টিও বিতরণ করেননি। যারা পার্শ্ববর্তী একটি দেশের একই সুরে কথা বলছে তারা হল ভারতের দালাল। দালালি করে আপনারা টিকতে পারবেন না এদেশে। যারা ইতিপূর্বে দালালি করেছিল তারা হেলিকপ্টারে সে দেশেই পালিয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোন দেশের দালালি করে না। একমাত্র আল্লাহর গোলামী করে।

তিনি আরো বলেন ইসলামে নারীর অধিকার দিয়েছে পুরুষের তুলনায় তিন গুণ বেশি। ইসলাম কায়েম হলে নারীদেরকে ঘরে বসে থাকতে হবে না। তাদের আত্মসমর কর্মসংস্থা। তাদের আত্মকর্মসংস্থানের অধিকার রয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের সেই অধিকার নিশ্চিত করবে। বাউফলে অর্ধশতাধিক অসহায়, দুঃস্থ নারীদের মাঝে এ সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।

সেলাই মেশিন পেয়ে উপকৃত নারীরা আনন্দে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিলবিলাস গ্রামের ফরিদা বেগম বলেন, “সেলাই মেশিন পেয়ে আমার সংসারের অভাব দূর হবে। ড. মাসুদের জন্য দোয়া করি।” কালাইয়া থেকে আসা খাদিজা বেগম বলেন, “অনেকদিন সেলাই কাজ শিখেও মেশিন কিনতে পারিনি। আজ স্বপ্ন পূরণ হলো।” আর হালিমা বেগম জানান, “টাকার অভাবে সেলাই মেশিন কেনা সম্ভব হয়নি। ড. মাসুদের উদ্যোগে সেই আশা পূরণ হয়েছে।” মানবতার কল্যাণে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডক্টর মাসুদ।