বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেছেন, শ্রমিকদের দাবি ও উন্নয়নে ১৯৬৮ সাল থেকে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কাজ করছে। সরকার থেকে নিবন্ধিত ও নিবন্ধন ছাড়া আরও অনেক সংগঠন আমাদের সঙ্গে কাজ করে। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর শ্রমিকদের জন্য কাজ করতে আমরা আমাদের নামে কিংবা বেনামেও ঠিকভাবে মাঠে নামতে পারিনি। গত ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছে। আমরা শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও মানোন্নয়নের জন্য সবসময় পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার রক্ত ও ঘামে রচিত আন্দোলন ছিল ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের রূপরেখা হলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত সাত দফা। তাই জাতীয় সমাবেশ শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি একটি জাতীয় দায়িত্ব।’ ১৯ জুলাই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাজির হয়ে সকল শ্রমিকদেরকে সেই জাতীয় দায়িত্ব পালনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে খুলনা মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে শিল্পাঞ্চল খালিশপুরের বিআইডিসি সড়কে অবস্থিত মহানগরীর নিজস্ব কার্যালয় চত্বরে রেজিষ্টেশন ট্রেড ইউনিয়ন ও বিভিন্ন পেশার শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি খুলনা অঞ্চল পরিচালক মাস্টার শফিকুল আলম, জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল। অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন, খুলনা মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট শাহ আলম ও প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য হাফেজ মোকারাম বিল্লাহ আনসারী, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, খালিশপুর থানা আমীর মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৌলতপুর থানা আমীর মুশাররফ আনসারী, আড়ংঘাটা থানা আমীর মনোয়ার আনসারী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক শ্রমিক নেতা খান গোলাম রসুল, টিম সদস্য আজিজুর রহমান, আল ফিদা হোসেন, খুলনা মহানগরী সহ-সভাপতি এস এম মাহফুজুর রহমান, সাখাওয়াত হোসেন, কাজী মাহফুজুর রহমান, শ্রমিক নেতা জাহিদুল ইসলাম, বুলবুল কবির প্রমুখ।
মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আরও বলেন, আমরা দেশের সাড়ে সাত কোটি শ্রমিকের উন্নয়ন ও স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত শ্রম সংস্কার কমিশনে আমরা প্রস্তাবনা জমা দিয়েছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত সাত দফা আদায়ের মাধ্যমেই ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সফলতা অর্জন করা সম্ভব। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার বহু ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান জাতীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জুলাই-আগস্টের জনআকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন এবং জীবন উৎসর্গকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ১৯ জুলাই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশের আয়োজন করেছে। জাতীয় সমাবেশ সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য তিনি সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।