সংলাপ শেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, আমরা কয়েকটি বিষযে কথা বলেছি। প্রথমে বলেছি সংস্কারের বিষয়ে। আমরা বলেছি জুলাইয়ের ভেতরে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। অনেকে এই বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। কিছু বিষয়ে সামান্য সামান্য দ্বি-মত হয়েছে কিছু দলের মধ্যে। তারপর একটা জুলাই সনদ হবে। তাতে সমস্ত পলিটিক্যাল পার্টি এক মত নীতিমত এক মত হয়েছি। সেই চার্টারে আমার সাইন করবো। এরপরে আলোচনা হয়েছে নির্বাচনের তারিখের ব্যাপারে। আমরা দুটি কথা বলেছি। প্রথম কথা আমরা সকল দল ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আমাদের আস্থার কথা পুর্নব্যক্ত করেছি। ওনার নেতৃত্বেই একটি সুস্থ সফল নির্বাচন হবে। এবং নির্বাচন হউক এটা চাই।

গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সংলাপ শেষে তিনি একথা বলেন। ডা. তাহের বলেন, নির্বাচনের তারিখের ব্যাপারে তিনটি বক্তব্য এসেছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ডিসেম্বর টু জুন। কিছু পলিটিক্যাল পার্টি বলেছেন ডিসেম্বর। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে বলেছি, জুন এবং মে মাস নির্বাচনের জন্য উপযোগী নয়। তাহলে মে-জুন বাদ দিলে ওনার কমিটমেন্ট অনুযায়ী যা হয়, তা হলো ডিসেম্বর টু এপ্রিল। এর মাঝে রোজা আছে। আমরা এব্যাপারে হ্যাচিং করতে চাচ্ছি না। আমরা খুব ফেক্সিবল। আমরা কোন তারিখের নির্দেশনা দিচ্ছি না। ডিসেম্বর-টু এপ্রিলের মধ্যে একটা তারিখ দিলেই জনগণের মধ্যে যে শঙ্কা বা অস্বস্থি আছে, তা কেটে যাবে। রাজনৈতিক দলগুলো তার নির্বাচনের প্রচারণার দিকে মনোযোগ দিবে। তাহলে আর কোন খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হবে না।

সবশেষ আমরা নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছি। আমরা চাই একটা অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন। আমরা বলেছি বাংলাদেশের বাইরে এগার বিলিয়ন বা এক কোটি দশ লক্ষ প্রবাসী আছে। তারা রেমিটেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করেছেন। সুতরাং তাদেরকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে এবং নির্বাচন কমিশন এতে রাজি হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এটা প্রধান দাবি। কিন্তু সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা মানুষগুলো কিভাবে ভোট দিবে, কোন কোন দেশে কিভাবে ভোট হবে, আবার সেখানকার সরকারের সাথে যোগাযোগ করা লাগবে। এব্যাপারে যে একটা কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে যাওয়া উচিত; নির্বাচন কমিশনের তৎপরতায আমরা সেটা লক্ষ্য করছি না। আমরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে লেবেল প্লেইং ফিল্ড আমরা চাই। নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ।

এক্ষেত্রে তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, অতীতের তিনটা নির্বাচন কমিশন সফলকাম ছিল না, স্বচ্ছ ছিল না। আরেকটা প্রহসনমূলক নির্বাচন আমরা চাই না। এবং নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করার জন্য যারা সংশ্লিষ্ট আছে নির্বাচনের সাথে, যেমন প্রশাসনের লোকেরা আছে, ডিসি এসপিরা আছেন, ইউএনও ওসিরা আছেন। পোলিং প্রিসাইডিং অফিসাররা আছেন। চিফ ইলেকশন কমিশনের অফিস আছে। ল ইনফোর্সিং অথোরিটি আছে। সমস্ত জায়গায় যেন একটি স্বচ্ছতা নিয়ে আসে। আগে থেকে কাজ করে দ্রুত। একটা লেবেল প্লেইং ফিল্ড যেন তৈরি হয়। উৎসব মূখর একটি অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন আমরা চাই।