যানবাহনে অগ্নিসংযোগ অভিযোগের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও মির্জা আব্বাসসহ ৭৭ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহতি দেন।

এ দুই মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা সাইফুল আলম নিরব ও সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু।

‎মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশ তদন্ত করে সত্যতা না পেয়ে তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিল। আদালত সে প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামিদের অব্যাহতি দেন।

‎মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। আগের দিন ১১ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহবাগ থানার বার কাউন্সিলের নির্মাণাধীন প্রধান ফটকের সামনে দুষ্কৃতিকারীরা মোটরসাইকেলসহ যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে। আসামিরা জামিন শুনানির রায়কে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে এবং বিচার বিভাগকে চাপ প্রয়োগের জন্য মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করায় একটি মামলা দায়ের করেন শাহবাগ থানার এসআই শামছুর রহমান।

‎মামলাটির তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১০ মে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৭৭ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।