চট্টগ্রাম ব্যুরো : কেন্দ্র ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ ২৬ সেপ্টেম্বর জুমাবার চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার প্রতিটি উপজেলা ও থানায় জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাঁশখালী উপজেলা উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে বেলা ২ টায় জলদীতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম পশ্চিম জেলা সভাপতি আবদুর রহিম, উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাইল সহ উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
সাতকানিয়া উপজেলার উদ্যোগে বিকাল ৫ টায় পৌরসদরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সাতকানিয়া- লোহাগাড়ার জননন্দিত মজলুম জননেতা সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল ফয়েজ, এম ওয়াজেদ আলী, উপজেলা আমীর মাওলানা কামাল উদ্দীন, সাতকানিয়া পৌরসভার আমীর অধ্যক্ষ হামিদ উদ্দীন আজাদ, কেরানীহাট শহর শাখার আমীর মুহাম্মদ নাছির উদ্দীন সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বৃহত্তর পটিয়া উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে বিকাল ৫ টায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমীর জননেতা আনোয়ারুল আলম চৌধুরী। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১২ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ডা. ফরিদুল আলম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা ইসমাইল হক্কানী, মাওলানা আরেফে জামী, আ.ক.ম ফরিদুল আলম, মহানগরী পেশাজীবী থানার আমীর শাহজাহান মহিউদ্দীন, জেলা শুরা সদস্য মাষ্টার নাছিরুল আলম শেখ, উপজেলা আমীর জসিম উদ্দীন, কালারপোল থানার আমীর মাষ্টার এস এম নাছির উদ্দীন, পটিয়া পৌরসভার আমীর মাষ্টার সেলিম উদ্দীন সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
চন্দনাইশ উপজেলা ও উত্তর সাতকানিয়া থানা জামায়াতের উদ্যোগে বিকাল ৫ টায় দোহাজারীতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রমিক কল্যাণে কেন্দ্রীয় সহ-সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইসহাক। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাৎ হোসাইন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা কামাল উদ্দিন, সাবেক কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুদ্দীন, জেলা শুরা সদস্য ডাঃ আবদুল জলিল, মাওলানা আইয়ুব আলী, চন্দনাইশ উপজেলা আমীর মাওলানা কুতুব উদ্দীন, উত্তর সাতকানিয়া থানার আমীর মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
লোহাগাড়া উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে বিকাল ৫ টায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ড. হেলাল উদ্দিন মো. নোমান। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি মাওলানা নুরুল হোসাইন, লোহাগাড়া উপজেলা আমীর অধ্যাপক আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদী সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে সকাল ৯.৩০ টায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১৩ আসনের মনোনীত প্রার্থী ও জেলা সাংগঠনিক সেক্রেটারি অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাইল হক্কানী, ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল মোস্তফা, মুহাম্মদ নুরুল হক, আনোয়ারা উপজেলা আমীর মাষ্টার আবদুল গণি, কর্ণফুলী উপজেলা আমীর মাষ্টার মনির আবছার চৌধুরী সহ উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
বোয়ালখালী উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে বিকাল ৫ টায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাকারিয়া। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ডা. আবু নাছের, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আরিফুর রশিদ, বোয়ালখালী উপজেলা আমীর ডা.খোরশেদ আলম, পৌরসভার আমীর মাষ্টার হারুনুর রশিদ সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মিছিলোত্তর সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানকে ধারণ করে দেশ পরিচালনা করতে হলে জুলাই সনদকে আইনগত ভিত্তি প্রদান করার বিকল্প নেই। অথচ জুলাই সনদকে আইনী ভিত্তি দিতে গড়িমসি করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে না হলে পুনরায় ফ্যাসিবাদ কায়েম করা হবে। অধিকাংশ দল পিআর নির্বাচন চাইলেও সিদ্ধান্ত নিতে বিভিন্ন টালবাহানা করা হচ্ছে। জামায়াতের পাঁচ দফা বাস্তবায়ন করা শুধু সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপার। সদিচ্ছা থাকলে পাঁচ দফা আমলে নিয়ে ১ মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন শেষ করতে পারবে। টালবাহানা করে নির্বাচন পিছানো যাবে না। আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আজ এক বছর হয়ে গেলো। আমরা এখনো ফ্যাসিবাদের গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার দেখতে পাইনি। খুনি হাসিনা গণহত্যা করে একের পর এক আন্দোলনকে দমন করেছিল। অথচ বিচার বিভাগের বিলম্বের কারণে তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ফ্যাসিবাদ পুনরায় মাথাছাড়া দিয়ে উঠতে পারে। অবিলম্বে গণহত্যার বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসন ও বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত শেষ করতে হবে। সংস্কার না করে নির্বাচন দিলে জাতির সাথে তামাশা করা হবে।
তারা আরও বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। সকল দলের প্রতি সমান গুরুত্ব দিয়েই নির্বাচন দিতে হবে। অতীতের কোন নির্বাচনে জনগণকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। তাই যারা যেভাবে পেরেছে, ভোট কেন্দ্র দখল করে নিজেদের আসন বৃদ্ধি করেছে। তাই উৎসবমুখর নির্বাচনের আয়োজনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। আর ফ্যাসিস্টদের সহযোগী জাতীয় পার্টি সহ ১৪ দলের অন্যান্য শরীকদের নিষিদ্ধ করতে হবে। নইলে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ তাদের মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করবে। তাই সময় থাকতে জামায়াতের ঘোষিত পাঁচ দফা গণদাবি মেনে নিন। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের দাবি আদায় করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
শেরপুর : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শেরপুর শহর শাখার উদ্যোগে ৫ দফা দাবিতে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় একটি স্থানে গিয়ে সমাবেশে পরিণত হয়।সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শেরপুর-১ (সদর) আসনের এমপি প্রার্থী ও বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ মোঃ রাশেদুল ইসলাম রাশেদ। তিনি বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতে হবে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশের জনগণকে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির কবল থেকে মুক্ত করতে হলে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা জরুরি।”
এছাড়া সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শেরপুর জেলা আমির মাওলানা মোঃ হাফিজুর রহমান ও শহর আমির মাওলানা মোঃ নূরল আমিন। বক্তারা বলেন, “গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে বিরোধী দলের কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করলেই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব।”
সমাবেশে জামায়াতের জেলা ও শহর শাখার বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দসহ অসংখ্য কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) : জুলাই সনদের আইনীভিত্তি প্রধান ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা গণ দাবি আদায়ের লক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা এবং পৌরসভার আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল শুক্রবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী নাঙ্গলকোট উপজেলা আমীর মাওলানা জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে নাঙ্গলকোট এ আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা-১০ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ছাত্রশিবির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা ইয়াছিন আরাফাত।
নাঙ্গলকোট উপজেলা জামায়াত সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা ইয়াছিন মজুমদারের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌরসভা জামায়াত আমীর হারুনর রশিদ, উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা এস এম মহি উদ্দিন, মাওলানা ইউসুফ আলী, সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল ইসলাম হাসান, সাবেক ছাত্রনেতা মাঈনুল হক মজুমদার বাবলু, পৌরসভা জামায়াত সেক্রেটারি এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, সহকারী সেক্রেটারি জোবায়ের উদ্দিন খন্দকার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নাঙ্গলকোট উপজেলা সভাপতি মাওলানা ফারুক মিয়াজী, তা'লিমুল কোরআন বিভাগ সভাপতি মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন।
সমাবেশ শেষে নাঙ্গলকোট এ আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে উপজেলা সদরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বটতলায় গিয়ে শেষ করে।
গাংনী (মেহেরপুর) : জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে মেহেরপুরের গাংনীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ গাংনী উপজেলা শাখা।
গত শুক্রবার বিকেলে গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে র্যালিটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ শেষে গাংনী বাস স্ট্যান্ডে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গাংনী উপজেলা জামায়াত ইসলামের আমির রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর ২ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী নাজমুল হুদা, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলম।
এ সময় বক্তারা আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করতে পিআর পদ্ধতির হওয়ার দাবি তোলেন। সেই সাথে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলকে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ও তাদের বিচারের দাবি জানান।
বক্তার আরো বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে লেভেল প্ল্যানিং ফিল্ড তৈরি করতে হবে যেন প্রতিটি মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে কালো টাকা ছড়াছড়ি যেন না থাকে। ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট যেনো দিতে পারে।
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার সরিষাবাড়ী পৌরসভা চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়। প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মিছিল আরামনগর বাজার হয়ে মহিলা কলেজ মোড় পদক্ষিন শেষে জি.কে প্লাজায় গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
আয়োজকরা জানান, পাঁচ দফা দাবির ভিত্তিতে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। দাবিগুলো হলো
১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা। ২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা। ৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। ৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম নির্যাতন , গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা। ৫. স্বৈরাচারে দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা সেক্রেটারী আলহাজ্ব এড. মাওঃ মোঃ আব্দুল আওয়াল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওঃ মুহাম্মদ মনির উদ্দীন এবং সঞ্চালনা করেন পৌর আমীর গোলাম রব্বানী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা সিনিয়র সহ-সেক্রেটারী মাওঃ মোঃ নুরুল হক জামালী, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি ও পৌর মেয়র প্রার্থী অধ্যাপক শামীম হোসাইন সোহেল এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহাগ।
বক্তারা বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য এ দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি। তারা সতর্ক করে দেন, দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসাবে ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াত। গত শুক্রবার মিছিলটি উপজেলা জামায়াতের অফিস থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক গুলো প্রদক্ষিন করে শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে উপজেলা জামায়াতের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল বারীর সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহজাহান আলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক শাহজাহান আলী বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা দাবি এখন শুধু জামায়াতের দাবির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই এই দাবি দেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবিতে পরিনত হয়েছে। জুলাই আন্দোলনে হাজার হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে পুনারায় ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নয়। বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতি ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এক মাত্র পিআর পদ্ধতিতে সরকার গঠন হলে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার কোন সুযোগ নাই। তাই অনতিবিলম্বে জনগনের এই দাবি মেনে নিয়ে পিআর পদ্ধতিতে নির্বচন দিন।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ডঃ মাওলানা নজরুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ খাইরুল ইসলাম, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান প্রমুখ।
গোপালপুর (টাংগাইল) : আইনি ভিত্তি সহ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন। লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি এবং পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গোপালপুর উপজেলা শাখা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পৌর শহরের সুতী গোরস্থান কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে গোপালপুর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে গোপালপুর বাজারে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
উপজেলা জামায়াতের আমির মোঃ হাবিবুর রহমান তালুকদারের নেতৃত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে সমাবেশের বক্তব্য পেশ করেন টাংগাইল -২ (গোপালপুর -ভুয়াপুর) জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা হুমায়ুন কবির।
উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ ইদ্রিস হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য পেশ করেন টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য ডঃ মুহাম্মদ আতাউর রহমান, উপস্থিত ছিলেন উপজেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ আব্দুল মান্নান, উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ প্রমুখ। এসমাবেশে উপজেলা এবং ইউনিয়ন থেকে বিপুল সংখ্যক জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার পড়ন্ত বিকেলে বাহির গোলা জামে মসজিদ মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয় পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর পূর্বে এক সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাজেদুর রহমান, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম মঞ্জু, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটার অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসাইন, সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নুরুন্নবী প্রামানিক সাজু, সুন্দরগঞ্জ পৌর আমির একরামুল হক ও গাইবান্ধা জেলা ছাত্র শিবিরের বাইতুল মাল সম্পাদক মিজানুর রহমান মিন,প্রমুখ। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি সামিউল ইসলাম।
গৌরনদী : পিআর পদ্ধতিসহ ৫দাবীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরিশালের গৌরনদীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গৌরনদী উপজেলা, পৌর ও সকল সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে শুক্রবার বাদ আছর। গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মো. আল-আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সভার প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বরিশাল-১ আসন গৌরনদী-আগৈলঝাড়া থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ মাওলানা আলহাজ্ব কামরুল ইসলাম খান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি, জেলা জামায়াত কর্ম পরিষদের সদস্য অধ্যাপক আমীনুল ইসলাম খসরু, জেলা জামায়াত কর্ম পরিষদের সদস্য অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মো. বায়েজিদ শরীফ, পৌর জামায়াতের আমীর আলহাজ্ব মাওলানা মো. হাফিজুর রহমান, জেলা জামায়াত কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা জাকির হোসেন, সহকারী সেক্রেটারী মোঃ রুহুল আমিন সবুজ, পৌর বাইতুল মাল সম্পাদক মো. আনোয়ারুল হক নিরু, ৬নং ওয়ার্ড আমির মোস্তফা আনোয়ারুল ইসলাম টিপু-সহ উপজেলার সকল মসজিদের ইমাম ও ইসলাম পন্থি তাওহিদী জনত ও উপজেলা জামায়াতে সকল নেতৃবৃন্দ-সহ হাজার হাজার মুসলিম জনতা পিআর পদ্ধতিসহ ৫ দাবীতে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহন করেন।
অপরদিকে আগৈলঝাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আলাউদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে শুক্রবার ৪টায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সভার প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বরিশাল-১ আসন, গৌরনদী-আগৈলঝাড়া থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ মাওলানা আলহাজ্ব কামরুল ইসলাম খান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি, জেলা জামায়াত কর্মপরিষদের সদস্য অধ্যপক আমীনুল ইসলাম খসরু, জেলা জামায়াত কর্মপরিষদের সদস্য অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা মো. ফজলুর রহমান।