বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির বলেছেন, ওয়ার্ড ও ইউনিট দায়িত্বশীলদের সংগঠনের মুখপাত্র হিসেবে ভূমিকা পালন করতে হবে। ওয়ার্ড-ইউনিট সভাপতি সেক্রেটারিদের দেখেই সাধারণ মানুষ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে ভালো-মন্দ ধারণা পোষণ করে থাকে। ফলে আপনাদেরকে সবরের মাধ্যমে দ্বীন কায়েমের কাজকে এগিয়ে নিতে হবে। আর যে কোন পরিস্থিতিতে সাহসিকতার সাথে নিজেদের দক্ষতা ও সক্ষমতার আলোকে ময়দানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং সর্বাবস্থায় আল্লাহর উপরে ভরসা বা তাওয়াক্কুল করতে হবে। প্রত্যেক পাড়ায় মহল্লায় সকলের কাছে আমাদের দাওয়াত পৌছাতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে ইসলামের সু-মহান আদর্শের আলোকে গড়ে তুলতে হবে। পরিবার রাষ্ট্র সমাজ সবক্ষেত্রে নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ তৈরি করতে হবে। এজন্য আধিপত্যবাদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে দায়িত্বশীলদের আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।

শুক্রবার (২৩ মে) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল থানা জামায়াতের ওয়ার্ড সমূহের ৪ মাসের রিপোর্ট পর্যালোচনা উপলক্ষে আয়োজিত দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরার সদস্য ও যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল থানার আমীর জনাব এম আর মালেকের সভাপতিত্বে এবং যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল থানার সেক্রেটারি মাষ্টার আবু ছাইমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শূরা সদস্য ও যাত্রাবাড়ী পূর্ব জোনের টিম সদস্য ও বিশিষ্ট সাংবাদিক এমদাদুল হক।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল থানার কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি সেক্রেটারি সহ ওয়ার্ডের টিম সদস্যবৃন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে এম আর মালেক বলেন, তৃণমূলের দায়িত্বশীল ভাইয়েরা ব্যক্তিগত সকল কাজের মাঝেও দ্বীনের এই মহান দায়িত্বকে সঠিক ভাবে আঞ্জাম দেওয়ার জন্য সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। নিজেদের ও সংগঠনের ভারসাম্যপূর্ণ কাজের সমন্বয় করতে হবে। একই সাথে আমাদেরকে বহুবিধ যোগ্যতা ও সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। ইকামাতে দ্বীনের একাজে একনিষ্ঠ হয়ে সবার কাছে সংগঠনের দাওয়াত পৌঁছিয়ে দিতে হবে। সফলতা ও বিপ্লবের জন্য একটি সুদৃঢ় ক্ষেত্র প্রস্তুত করা খুব জরুরি। ইসলামী আন্দোলনের পথে বাঁধা আসবে এটা স্বাভাবিক, এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করেই ইসলাম বিজয়ী হয়েছে। খোদাভীতি, মেধা, প্রজ্ঞা ও বিবেকবোধের আলোকে নিজেকে ও সংগঠনকে পরিচালনা করতে পারলেই কেবল আমাদের প্রতিটি স্তরের সাফল্যের পাশাপাশি পরকালীন মুক্তি লাভ সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।