কয়রা উপজেলা (খুলনা) সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী কর্মশালা করেছেন। গত শনিবার (৬ই সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টায় কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে অন্তাবুনিয়া শিমলারআইট হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে নির্বাচনী কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহারাজপুর ইউনিয়ন জামায়াত আমীর মাষ্টার সাইফুল্লাহ হায়দারের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা আওছাফুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশে পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পক্ষে স্বৈরচারী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে না। এই পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচন হলে একটি মানসম্মত সংসদ গঠিত হবে। যেখানে ছোট-বড় সব সকল রাজনৈতিক দলই দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবে। উন্নত বিশ্বের ৯২ টি দেশে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। তাহলে আমাদের দেশের কতিপয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের পিআর পদ্ধতি নিয়ে অনিহা কেন ?
এসময় তিনি জনগণের কাঙ্খিত প্রত্যাশা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে সরকারকে এই পদ্ধতি অনুসরণ করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন যে জামায়াতে ইসলামী আগামী ফেব্রুয়ারিতে নয়, এখনই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান এবং তার আলোকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সাথে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার করতে হবে। যাতে করে ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন।
এসময় মাওলানা আজাদ দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচনী কাজে সবাইকে সক্রিয় হতে হবে এবং প্রতিটি ভোটারের কাছে গিয়ে দাঁড়িপাল্লা প্রতীককে পরিচিত করে তুলতে হবে। সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হলে একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠন সম্ভব হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালালে কয়রা-পাইকগাছা (খুলনা-৬) আসনেই জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী জয়লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ অতিথি হিসিবে বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি এ্যাডঃ মোস্তাফিজুর রহমান, অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওয়ালিউল্লাহ, জেলা সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, কয়রা উপজেলা জামায়াত আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান, নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারি মাওলানা শেখ সায়ফুল্লাহসহ জামায়াত নেতৃবৃন্দ।