ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরাইলী হত্যা ও নিধনযজ্ঞ আইয়্যামে জাহিলিয়াতের নির্মমতা ও বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

তিনি আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেল ৪ টায় রাজধানীর মহাখালী চৌরাস্তায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস গণহত্যা ও উপর্যপুরি বিমান হামলার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে বর্বরোচিত হামলা বন্ধের দাবিতে এক বিক্ষোভ পূর্ব বিশাল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বিশাল বিক্ষোভ মিছিলটি মহাখালী ওভারব্রিজ থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মগবাজার হাতিরঝিল মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত পথ সভার মাধ্যমে শেষ হয়। সামাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও ইয়াছিন আরাফাত, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জিয়াউল হাসান, মুহিবুল্লাহ, জামাল উদ্দীন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার, নাসির উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, জননেতা অধ্যক্ষ আশরাফুল হক, ছাত্রনেতা আনিসুর রহমান, সালাহ উদ্দিন প্রমূখ।

মহাখা্লীitled

ড. মু.রেজাউল করিম বলেন, জায়নবাদী ইসরাইলীরা সকল প্রকার আইন-কানুন, নীতি- নৈতিকতা ও যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লংঘন করে উপর্যুপরি বিমান হামলার মাধ্যমে পুরো গাজা নগরীতে ধ্বংসের শহর ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। তারা প্রতিনিয়ত মানবতাবিরোধী অপরাধ করে প্রমাণ করেছে ইসরাইল কোন রাষ্ট্র নয় বরং মধ্যপ্রাচ্যের অবৈধ ও সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র। তাদের এ বর্বরতা ও নির্মমতা ইতিহাসের সকল নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে। তাই মুসলিম উম্মাহ তাদের এমন হত্যাযজ্ঞ ও নির্মমতাকে বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না বরং মধ্যপ্রাচ্যের দুষ্টক্ষত ইসরাইলী দখলদারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

তিনি অবিলম্বে গাজায় ধ্বংস ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে জাতিসংঘ, ওআইসি সহ বিশ্ব সংস্থাগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহবান জানান। অন্যথায় মুসলিম বিশ্ব ঘরে বসে তামাশা দেখবে না।

Untitled

তিনি বলেন, গাজায় ইসরাইলী দখলদার বাহিনী যা করছে তা কোন যুদ্ধ নয়; বরং তা মানবতাবিরোধী অপরাধ। তাদের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নারী, শিশু, বৃদ্ধ সহ বেসামরিক স্থাপনাও। এমনকি হাসপাতাল ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানও তাদের জিঘাংসা থেকে মুক্ত থাকেনি। তাই সময় এসেছে ইহুদীদের পণ্য বর্জনের। শুধু তাদের পণ্য বর্জন করলেই চলবে না বরং যেখানে ইহুদী দেখা যাবে সেখানেই তাদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মুসলিম উম্মাহর নতুন প্রজন্মকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ইহুদীবাদীদের সকল ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা রুখে দিতে হবে। তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অবিলম্বে গাজায় হামলা বন্ধ না হলে মুসলিম যুবক- যুবতিরা ইসরাইল অভিমুখে মার্চ করে অবৈধ ইসরাইলীকে গুঁড়িয়ে দিতে বাধ্য হবে। তিনি দখলদার ইসরাইলী বাহিনীকে অস্ত্র সহ যেকোন ধরনের সহযোগিতা বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় কথিত ইসরাইলেদের করুণ পরিণতি বরণ করতে হবে।