ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনে অন্যতম ভূমিকার রাখেন দেশের প্রবাসীরা। তাদের অবদান ভোলার নয়। স্বীকৃতি হিসেবে আগামী নির্বাচনে তাদের ভোট প্রদানের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী আয়োজিত ডিজিটাল ইলেকশান ক্যাম্পেইন ওয়ার্কাশপে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াত ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি শামসুর রহমানের সভাপতিত্বে ও পল্টন থানা আমীর শাহিন আহমেদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্র নেতা শরিফুল ইসলাম, মহনগরের সহকারী মিডিয়া সম্পাদক সাবেক ছাত্র নেতা আশরাফুল আলম ইমন।
হেলাল উদ্দিন বলেন, দেশের যে কোন ক্লান্তি লগ্নে প্রবাসীরাই হাত এগিযে আসেন। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে হাসিনা সরকারের পতনের লক্ষ্যে ‘রেমিট্যান্স শাটডাউন’ ও বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেন। বিদেশে থেকেই হাসিনা পতনের আন্দোলন কারার কারণে অনেকেই জেলে আছেন, অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। এখন পর্যন্ত এই সকল ভাইদের কোন খোঁজ খবর নেওয়া হয়নি। তাদের যথাযত সম্মান বা স্বীকৃৃতি দেওয়া হয়নি। আমি চাই তাদের সম্মানিত কারা হোক।
আগামী নির্বাচনেও প্রবাসীদের ভোট গ্রহণ দেশের জন্য গুরুত্ব বহন করে। প্রবাসে প্রায় এক কোটি ভোটার রয়েছে। তাদের ভোটের সুযোগ করে দিন। অন্ত:বর্তী সরকার যদি নিবন্ধনজনিত জটিলতার কারণ দেখিয়ে প্রবাসীদের ভোট বাতিলের ষড়যন্ত্র করে তাহলে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। স্বৈরাচার সরকার পতনের সময় যে ভূমিকা রেখেছিলাম, প্রবাসী ভোটাধিকার আদায়ের ক্ষেত্রেও একই ভূমিকা রাখবে।
হেলাল উদ্দিন জানান, স্বৈরাচার পতনে হাসিনা সরকারের ওপর অনাস্থা দিয়ে ‘রেমিট্যান্স শাটডাউন’ ঘোষণা করেছিলেন প্রবাসীরা; কিন্তু সরকার পতনের পর তারা নতুন সরকারের ওপর আস্থা রেখেছেন। এজন্য এরই মধ্যে আমাদের রেমিট্যান্স এক বছরের সর্বোচ্চ ৩০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অর্জন করতে পেরেছি। আশা করা যায়, এই ধারা অব্যাহত রাখবেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। এ ছাড়া আমাদের রেমিট্যান্স বাড়ানোর আরও অনেক সুযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রবাসীদের প্রশিক্ষিত করতে হবে। এজন্য সরকারকেও উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী তাদের তদারকি করবে।
তিনি আরও জানান, জুলাইয়ে আন্দোলনের সময় অনেকেই আহত হয়েছে। তাদের সুচিকিৎসাসহ যথাযথ সম্মান দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। স্বৈরাচার হাসিনার দোসররা জুলাই বিপ্লবকে বিতর্কিত করতে এখনো দেশবিরোধী নানান ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিপ্লব বেহাতের অপচেষ্টাকারীদের রুখে দেবে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী।