বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ঐকমত্যের বাইরে কিছু করার সুযোগ নাই। যেটুকু ঐকমত্য হয়েছে ততটুকুর মধ্যেই থাকতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকায় নবনিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকের নেতৃত্ব দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটি ও চেয়ারপারসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
আমীর খসরু বলেন, প্রত্যকেটি দলের নিজস্ব কিছু অধিকার আছে। যারা বিএনপির সাথে আগে জোটে ছিল তারা চাইলে আলাদাভাবে প্রার্থী দিতেই পারে, আবার জোটেও থাকতে পারে। আওয়ামী লীগের এক নেতার বাসায় তিন দেশের কূটনীতিকদের বৈঠকের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কূটনীতিকরা কার বাসায় বৈঠক করবে সেটা নিয়ে বিএনপি চিন্তা করে না। কতজন—কত জায়গায় মিটিং করবে—এ ব্যাপারে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য নেই। কারো বাসায় বৈঠক করলে রাজনীতিতে কিছু আসে যায় না।
আমীর খসরু বলেন, বিএনপি বলেছে ১৮ মাসের মধ্যে ১ কোটি কর্মসংস্থান করব। এক কোটি কর্মসংস্থানের জন্য স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজন। স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য জার্মানির সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্কিল উন্নয়নের জন্য জার্মানির সঙ্গে যৌথভাবে কী কী করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। জার্মানি বিনিয়োগ কীভাবে আরও বাড়ানো যায় সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। জার্মানি চীনে কিছু বিনিয়োগ করেছে, ভারতে কিছু বিনিয়োগ করেছে। ইতিমধ্যে তারা বাংলাদেশকে আগামী দিনের বিনিয়োগের জন্য ভালো গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করছে। তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য ভালো পরিবেশ দরকার। বাংলাদেশের বিনিয়োগে যে সমস্যাগুলো ছিল, সে বিষয়ে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি, সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। বিনিয়োগ সামিটে বিনিয়োগকারীদের কাছে আমাদের সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে দিয়েছি, প্রত্যেকটি দূতাবাসেও দিয়েছি। বিনিয়োগকারীরা জানেন, আমাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের বিনিয়োগে কোনো সমস্যা থাকবে না।