পুলিশ বাহিনীকে কোনো রাজনৈতিক দলের লাঠিয়াল বাহিনী না বানিয়ে তাদের নিরপেক্ষ থেকে জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকার আহবান জানিয়েছেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক সিফাত উল আলম।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা হলো মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কার্যকর হওয়া। সে লক্ষ্যে পুলিশকে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা শহর শাখার উদ্যোগে “ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুঃশাসনে সাতক্ষীরা জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর একটায় শহরের মুন্সিপাড়াস্থ আল—আমিন ট্রাস্টের কাজী শামসুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন শহর শিবিরের সভাপতি মুহাম্মদ আল মামুন।

শহর শিবিরের সেক্রেটারি মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় সেমিনারে আওয়ামী লীগের বিগত ১৬ বছরের শাসনামলে সাতক্ষীরাতে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের উপর হত্যা, খুন, গুম, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন, ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা শহর ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তালেব, মোঃ আব্দুল গফুর ও মোঃ আনিসুর রহমান।

নির্যাতিত পরিবার ও শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন শহীদ আবু হানিফ ছোটনের পিতা মোঃ শহর আলী, সাবেক কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক আমিনুর রহমান এবং স্পোর্টস সম্পাদক মোঃ আল আমিন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা সেক্রেটারি নাজমুল ইসলাম, শহর শিবিরের অফিস সম্পাদক মোঃ নুরুন্নবী, অর্থ সম্পাদক মোঃ আরিফ বিল্লাহ, সাহিত্য সম্পাদক আবু সালেহ সাদ্দাম, এইচআরডি সম্পাদক আল রাজীব, প্রকাশনা সম্পাদক হাফেজ আনিসুর রহমান, দাওয়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুহা. শারাফাত হুসাইন লিটিল, গবেষণা সম্পাদক মোঃ আফজাল হোসেন, তথ্য ও মিডিয়া সম্পাদক মুহা. মাসুদ রানা, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রচার সম্পাদক হাফেজ ওয়ালীউল্লাহ, বিতর্ক সম্পাদক মোঃ মোর্শেদুল ইসলাম, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক মোঃ আতিক মুজাহিদ, মাদ্রাসা সম্পাদক মোঃ শাহনেওয়াজ এবং মানবসেবা সম্পাদক মোঃ শামীম হোসেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার সম্পাদক মোঃ সিফাত উল আলম বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনে দেশ একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল। মত প্রকাশের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদা বলে কিছুই ছিল না।

তিনি সেমিনারে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তিনটি দাবি উত্থাপন করেন, দাবীর মধ্যে ১। প্রত্যেক মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িতদেও খুজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করা ২। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা এবং ৩. বাংলাদেশের পুলিশ ব্যবস্থাকে সংস্কার করা যেন তারা কোন দলীয় ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ না হতে পারে।