সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত করতে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে সকলকে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমরা খুব পরিষ্কার করে বলেছি, জোর দিয়ে বলেছি যে, নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। এই ডেমোক্রেসি ছাড়া আমরা মনে করি না যে, আর কোনো সিস্টেম আছে, যে সিস্টেমে জনগণের কল্যাণ করতে পারে। কিন্তু আজকে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে যেন এই প্রক্রিয়া (নির্বাচন) পিছিয়ে যায়, বিলম্বিত হয়, অন্য কারো সাহায্য করা যায় দেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করা যায় সেই কাজগুলো শুরু হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু নতুন নতুন, আমি বলি, ‘কুতুব’ আবির্ভূত হয়েছে তারা বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চান জানি না। তাদের ভাষা, তাদের বাক্য, তাদের কথা, তাদের বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশকে একটা নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যেতে চায়, তারা গণতন্ত্রের দিকে নিয়ে যেতে চায় না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকেও সেই সময় এসেছে, যে সংকট আজকে সৃষ্টি হচ্ছে এমন সংকট যে, আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী তাকে পর্যন্ত আজকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে, যা আমরা কোনো মতেই মেনে নিতে পারি না। তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই ২০২৪ সালে যারা প্রাণ দিয়েছেন.. শহীদ হয়েছে তাদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা আমরা জানাই, সব সময় জানাই। কিন্তু এই বিপ্লব হঠাৎ করে ঘটেনি। বিপ্লবের ভিত্তি তৈরি করতে হয়েছে, এই ভিত্তি তৈরি করেছে বিএনপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা বলতে চাই, যদি অতি দ্রুত নির্বাচনের দিন-তারিখ ঘোষণা করা হয় তাহলে জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে এবং নির্বাচনমুখী জনগণের সামনে কোনো রকমের ষড়যন্ত্র ঠিকতে পারবে না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস. জনগণই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে।
প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আহমেদ আজম খান ও নুরুল ইসলাম মনি, অধ্যাপক কামরুল হাসান, অধ্যাপক মামুন আহমেদ, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, রফিকুল ইসলাম মজনু বক্তব্য রাখেন।