স্বাধীনতার নামে পরাধীনতার কারণেই বাংলাদেশের মানুষ দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, কোন স্বাধীন রাষ্ট্র দ্বিতীয়বার স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে না। কেবল বাংলাদেশের জনগণকে দ্বিতীয় স্বাধীনতার জন্য জীবন ও রক্ত দিতে হয়েছে। ছাত্র-জনতা এই আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহন করেছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মাধ্যমে আমরা কেবল একটি পতাকা পেয়েছি। এই পতাকার মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা আওয়ামী লীগ হাইজ্যাক করে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলো। যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে যারাই বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার মসনসে বসেছে তারাই ভারতের তাবেদারি করেছে।

গতকাল শুক্রবার চকবাজার - বংশাল জোনের দিনব্যাপী অগ্রসর কর্মী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামীলীগের যারা প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে বলে জাতির কাছে মিথ্যাচার করা হচ্ছে তারা যে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন রাষ্ট্র ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে সেটা বলা হয় না। শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের সাথে গোপন চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করে দিয়েছিল। শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার মহানায়ক প্রচার করা হলেও তিনি কোথায় কখন স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে কিংবা নেতৃত্ব দিয়েছে সেটা কারো জানা নেই।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান উপস্থিত অগ্রসর কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আল্লাহ দুনিয়ার মধ্যে শ্রেষ্ঠ কাজ বলেছেন দাওয়াতি কাজকে। দাওয়াত হচ্ছে আল্লাহর সকল বিধান পালনের জন্য মানুষকে আহ্বান জানানো। এই দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, কর্মীদের কাজ করার আগে অবশ্যই জানতে হবে আমি কার জন্য কাজ করছি, কেন করছি এবং যে কাজটি করছি সেটা সঠিক কি-না?- এই তিনটি বিষয় চিন্তা না করে যারাই কাজ করবে তারা জালিম হবে। এই তিন চিন্তা বাদ দিয়ে কাজ করেছে শেখ মুজিব, তার মেয়ে খুনি হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ। এরা জাতির উপর জুলুম করেছে এবং আরো করবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা কোন ব্যক্তি বা দলের জন্য কাজ করে না, যার কারণে তারা জালিম হয়নি, হবেও না। জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা এক আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জনের মাধ্যমে আলোকিত সমাজ গঠনে কাজ করে এবং করে যাবে। দুনিয়ার কোন শক্তি এই কাজ থামাতে পারেনি এবং পারবে না।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এবং বংশাল-চকবাজার জোন পরিচালক মুহাম্মদ দেলাওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত অগ্রসর কর্মী শিক্ষাশিবিরে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি শামসুর রহমান, বংশাল-চকবাজার জোনের সহকারী পরিচালক এস.এম আহসান উল্লাহ, মহানগরীর মজলিশে শূরা সদস্য মোঃ মাহবুবুল আলম ভুইয়া, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য যথাক্রমে চকবাজার দক্ষিণ থানা আমীর মাওলানা আনিসুর রহমান, বংশাল উত্তর থানা আমীর মাওলানা বেলাল হোসেন, চকবাজার পশ্চিম থানা আমীর আবুল হোসেন রাজন, চকবাজার পূর্ব থানা আমীর রফিকুল ইসলাম সহ চকবাজার-বংশাল জোনের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও শিক্ষা শিবিরে চকবাজার-বংশাল জোনের অগ্রসর দুই শতাধিক কর্মী অংশগ্রহণ করে। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।