জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে মাঠে নেমেছিÑ যেখানে থাকবে না কোনো বৈষম্য, প্রতিষ্ঠিত হবে ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা।”
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির পথসভা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “১৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান ছিল রাষ্ট্রকে বৈষম্যমুক্ত করার আন্দোলনের সূচনা। সেই অভ্যুত্থানে ছাত্রজনতা নতুন স্বপ্ন নিয়ে রাজপথে নেমেছিল, কিন্তু সরকার তা দমন করতে স্টিম রোলার চালিয়েছে। যার ফলে ১৫ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে দুর্বার গণআন্দোলন, যা শেষ পর্যন্ত স্বৈরাচারী শাসনকে বিদায় করতে বাধ্য করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই- যেখানে শ্রমিক, নারী, দিনমজুর, প্রান্তিক জনগণ সকলেই সমান মর্যাদা পাবে। কোনো একচেটিয়া শাসন থাকবে না। ভোলার মানুষ আমাদের এই আন্দোলনে প্রাণ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। এখানকার শহীদদের অবদান চিরস্মরণীয়।”
ভোলার সম্ভাবনার দিক তুলে ধরে নাহিদ ইসলাম বলেন, “ভোলায় বিপুল পরিমাণ গ্যাস মজুদ রয়েছে, যা এখানকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজে লাগানো উচিত। ভোলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা, আমরা সেটিকে সমর্থন করি।”
সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তর অঞ্চল) সারজিস আলম।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, শহীদ হাসানের পিতা মনির হোসেন, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ অঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মশিউর রহমান, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আক্তার মিতু, যুগ্ম সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন যুবশক্তি নেতা অ্যাডভোকেট রাসেল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমন্বয়ক সালমা আক্তার, ফারজানা আহমেদ, এনসিপি নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, বরিশাল অঞ্চলের যুগ্ম সমন্বয়ক ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, ভোলা জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মেহেদী হাসান শরীফ, যুগ্ম সমন্বয়কারী ইয়াসির আরাফাত ও মাকসুদুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা জানান, এনসিপির জুলাই পদযাত্রা কেবল একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি একটি জন-জাগরণের ডাক। ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আগামী দিনে দলটি আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।