বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিটি আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করার কাজ করছে বিএনপি। শিগগির একক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই নেতা বলেন,বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক, উদার নৈতিক রাজনৈতিক দল।প্রত্যেকটি আসনে আমাদের একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। অনেক আসনে ১০ থেকে ১২ জনের মতো প্রার্থী আছে। এখন আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করছি। খুব শিগগির আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেব। তবে সেটি অফিশিয়াল হবে তফশিল ঘোষণার পরে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুলাই মাসে সংঘটিত গণহত্যা নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো অনুশোচনা নেই। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে এখন ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছে।
সরকারের প্রতি অভিযোগ তুলে সালাহউদ্দিন বলেন, যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেনি সরকার। রহস্যজনক কারণে মামলাগুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, বিএনপি নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়। আমরা চাই, বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের ভাগ্য নির্ধারণ হোক।
নির্বাচনকে ঘিরে শরিক দলের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জোট গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।
সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন। সংবিধান ছাড়া অন্য সব বিষয়ে সংস্কারের জন্য সব দলের ঐকমত্য রয়েছে। কিন্তু নির্বাহী আদেশে সংবিধান সংস্কার হলে তা খারাপ নজির হয়ে থাকবে। এতে ভবিষ্যতে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে।
সালাহউদ্দিন বলেন, জরুরি কিছু ব্যতীত এমন কোনো বিষয় সামনে আনা উচিত হবে না- যা জাতীয় জীবনে নতুন সংকট তৈরি করতে পারে। নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে।