চট্টগ্রাম ব্যুরো : জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও লোহাগাড়া-সাতকানিয়ার সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা গেলে দেশে বৈষম্য, দুনীতি, অর্থপাচার থাকবে না। জামায়াতের ইসলামী নেতৃবৃন্দ সেটাই করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাগুত শক্তি ইসলামী নেতৃবৃন্দের এই তৎপরতা থামিয়ে দেয়ার জন্য নানা কায়দায় জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে হত্যা করেছে। আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী সারাজীবন পবিত্র কোরআনের তাফসির করেছেন। তিনি মানুষকে ইসলামের পধে ডেকেছেন। পবিক্র আল করোআনের বিধিবিধান প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে কাজ করেছিলেন তিনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাকে গ্রেফতার কওে বছরের পর বছর কারারুদ্ধ কওে রেখেছিল। পরে মেডিক্যাল কিলিংয়ের মাধ্যমে তাকে হত্যা করে। এভাবে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মীর কাসেম আলী, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, আব্দুল কাদের মোল্লাহকে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। তাদের কোনো অপরাধ ছিল না। তাদের কাজ ছিলো পবিত্র কোরআনের রাজ কায়েম করা। আর সেটা সহ্য করেনি আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর আমিরাবাদ চট্টলা পাড়ায় বায়তুল ইকরাম জামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। সৌদি আরবের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি মাওলানা নুরুল হোসাইন, লোহাগাড়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম, আমিরাবাদ ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মোহাম্মদ হাসান, সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা নুরুল আলম চৌধুরী ও এনামুল হক, প্রবীণ জামায়াত নেতা চৌধুরী মোহাম্মদ ছালেহ প্রমুখ।