দেশে ‘এক-দেড় মাসের মধ্যে’ নির্বাচন সম্ভব না হলে অন্তর্বর্তী সরকারকে তার কারণ তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

সোমবার ঢাকায় এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “পত্রিকায় এসেছে, নির্বাচন কমিশন বলেছে যে তারা জুনের মধ্যে ভোট করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। গতকাল (রোববার) জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের যিনি ভাইস চেয়ারম্যান, আলী রীয়াজ সাহেব, উনি বলেছেন, আমাদের আলোচনা প্রায় শেষ। আমরা এ মাসেই দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় যাব।

“সেটা কী? যেসব বিষয় আমরা একমত হলাম, এটার একটা তালিকা করা, যদি আরেকটু কিছু করা যায় সেটা করা; করার পর একটা সনদ তৈরি করা, যেন সেখানে সবাই দস্তখত করতে পারে।”

নজরুল প্রশ্ন তোলেন, ‘‘সেটা করতে আর কত দিন লাগতে পারে? সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় মাস! এর বেশি তো না! দ্যান উই সাইন এ ডকুমেন্ট, আমরা একটা সনদে দস্তখত করলাম।

“এর মধ্যে যেটা অধ্যাদেশের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব, কয়েক দিনের মধ্যে সেসব অধ্যাদেশ জারি হতে পারে। আর যেগুলো সম্ভব না, সেগুলো পরবর্তী সংসদে তোলার জন্য তো একমত হলাম। তাহলে আপনার (অন্তর্বর্তী সরকার) নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে করতে বাধাটা কোথায়?”

নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আপনারা যা বলছেন, তাতেই তো কোনো বাধা নাই। এখন যদি বলেন যে আরও দেরি করতে হবে, তাহলে কারণটা তো তাকেই বলতে হবে যে কেন দেরি করতে হবে? তা বলছেন না তারা।

তিনি বলেন, “আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, অবশ্যই আমরা সংস্কার চাই। যেসব সংস্কার প্রয়োজন, যেসব সংস্কার সম্ভব, যেসব ছাড়া একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না, তার সবগুলো আমরা করতে চাই।”

জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহতকরণ ও তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের দাবি’ শিরোনামে এ আলোচনা সভা হয়।