বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ বলেছেন, পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হলে নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় তৈরি হবে। মানুষের মধ্যে যদি নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয় তাহলে সেই নির্বাচনে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবে কিনা সেই শঙ্কা থেকে যায়। সংস্কারের ভিত্তিতে এই নির্বাচন হতে হবে। যেনতেন নির্বাচন জনগণের আকাংখাকে পূরণ করতে পারবে না। আমরা চাই একটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। উৎসবমুখর নির্বাচন। স্বৈরাচার ছাড়া সকল বৈধ দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন। এর আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। সংস্কারের বিষয়ে অনেকগুলো বিষয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য পোষণ করেছে। এ সংস্কারের ভিত্তিতেই নির্বাচন হতে হবে। এ সংস্কারের ভিত্তিতে নির্বাচন হতে হলে সংস্কার একটি আইনি ভিত্তি তৈরি করতে হবে। তিনি প্রধান উপেদেষ্টাকে জাতির কাছে সেটি পরিস্কার করার আহবান জানান। সেই সাথে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপের আয়োজন করার তাগিদ দেন। শুক্রবার সকাল ৯টায় কুমিল্লা ফান টাউন কনভেনশন হলে কুমিল্লা মহানগরী জামায়াত আয়োজিত নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের আমীর ও জামায়াত মনোনীত কুমিল্লা-৬ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মু. মাহবুবর রহমানের পরিচালনায় ডা. তাহের বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে হ্যাঁ, না ভোট করেছিলেন তখন কিš‘ পার্লামেন্ট ছিল না। আমরা শহীদ জিয়ার সেই দলকে অনুরোধ করবো, তারা যেন শহীদ জিয়া যেভাবে ভোট করেছিলেন, প্রক্লামেশন করেছিলেন, সেটাকে ফলো করে এবারের যে সমস্ত সংস্কারে আমরা একমত হয়েছি, সেটাকে ভিত্তির মাধ্যমে আগামী নির্বাচন করার ব্যাপারে তারা পজেটিভ ভূমিকা রাখবে। কোনো দল যদি মনে করে তাদের নিশ্চিত বিজয় হবে, তবে বোঝা যায় জেতার জন্য তারা কোনো ম্যাকানিজম করছে যা তাদের জিতিয়ে দেবে। তাদের আর ভোটের প্রয়োজন হবে না। তিনি বলেন, কেউ যদি ভোটের আগে বিজয়ী হতে চায় তাহলে বোঝা যায় তারা ১৪, ১৮ ও ২৪ এর মতো একটি নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন যথাসময়ে হবে, ইনশায়াল্লাহ। কিš‘ নির্বাচন যথাসময়ে হওয়ার জন্য কিছু অবস্ট্যাকল আছে, সরকার সিনছিয়ার হলে সেগুলো দূর করা সম্ভব। তখন নির্বাচনের ব্যাপারে আর কোন প্রতিবন্ধকতার সুযোগ দেখি না। নির্বাচন হতেই হবে। নির্বাচন না হলে দেশ বিপর্যয়ের দিকে যাবে। নির্বাচনী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভুঁইয়া, এসময় উপ¯ি’ত ছিলেন, কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর এ কে এম এমদাদুল হক মামুন, সহকারী সেক্রেটারী যথাক্রমে, কামারুজ্জামান সোহেল, কাউন্সিলর মোশারফ হোসাইন, নাছির আহম্মেদ মোল্লা। মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য কাজী মোতাহের আলী দিলাল, কাজী নজির আহম্মেদ, মোহাম্মদ হোসাইন, মজিবুর রহমান প্রমুখ।