বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির নোয়াখালী শহর শাখার উদ্যোগে জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে বিশাল জুলাই দ্রোহ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি জুলাই দ্রোহ মিছিলটি আরম্ভ হয়। নোয়াখালী মাইজদী বাজার থেকে শহরের প্রধান সড়ক ধরে জুলাই অনুপ্রেরণার স্লোগানে মুখরিত হয়ে নোয়াখালী পৌরবাজারের সামনে জুলাই দ্রোহ মিছিলটির সমাপ্তি ঘটে।

জুলাই দ্রোহ মিছিলে শিবিরের নেতাকর্মীরা দাবী তোলেন, জুলাই গণহত্যার বিচার সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত এবং শহীদ পরিবারের পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। যথাযথ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে জুলাই সনদ জাতীর সামনে উপস্থাপন করা।

জুলাই দ্রোহ মিছিল পরিচালনা করেন কেন্দ্রিয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শহর সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান এবং সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মাহবুব, সাবেক কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য নোয়াখালী শহর জামাতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল রাকিব, সাবেক সভাপতি সাইফুল্লাহ সাঈফ, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সেক্রেটারি আরিফুল ইসলাম সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

মীরসরাই : মীরসরাইয়ে জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ছাত্রশিবির। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ও মীরসরাই উপজেলা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগ মীরসরাই থানা মসজিদ থেকে শুরু করে মিছিলটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থান পদক্ষিণ করে পৌর সদরের সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে জুলাই সনদের দাবি তোলেন নেতৃবৃন্দরা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা জামায়াতের আমির আলাউদ্দিন সিকদার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমির নুরুল কবির। এসময় মীরসরাই থানা শিবিরের সভাপতি সাবিক হোসাইনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি শওকত আলী, রাঙ্গামাটি জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি সাহেদুল ইসলাম সাফি ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি সাকিব চৌধুরী প্রমুখ।

কিশোরগঞ্জ : জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে এক ছাত্রী সমাবেশ নগুয়াস্থ আলফারুক ট্রাস্ট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা সভানেত্রী ফাতেমা জান্নাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কিশোরগঞ্জ জেলা আমীর অধ্যাপক মোঃ রমজান আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মাওলানা নাজমুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন শহর আমীর মাওলানা আবদুল হক, সদর নায়েবে আমীর মোঃ নুরুদ্দিন, ছাত্রী সংস্থার কিশোরগঞ্জ শহর শাখার সভানেত্রী রহিমা খাতুন, জেলা নেত্রী জারিন সাবিহা, শহর নেত্রী তাহাসসিব তাবাসসুম প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বৈষম্য বিরোধী ও স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে ছাত্রীসংস্থার কর্মীদের ত্যাগ কুরবানির কথা স্মরণ করেন। তিনি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রীসংস্থার দায়িত্ব অনেক বেশি। বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে একটি কল্যাণমূলক ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্বার আন্দোলনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে ছাত্রী সংস্থার সকল স্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।