সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিওতে দেখা গেছে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই পরিবারের সঙ্গে ‘চিল’ বা আমোদ-ফুর্তি করছো। ভিডিওটি ইতোমধ্যে স্যোসাল মিডিয়া ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে শামীম ওসমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে দুবাইয়ে বিলাসবহুল গাড়িতে ঘোরাফেরা করছে।
নেটিজেনরা বলছেন, হাসিনার লাঠিয়াল দেশের টাকা মেরে বিদেশে গিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ফুর্তিতে আছে। অথচ অবুঝ কর্মীগুলা এখনো দেশে চামচামি করে বেড়ায় আর মার খায়, আর তার নেতা ও নেতার পরিবার পিকনিক করে! ওরা চিল করে বেড়ায় আর দেশে কিছু পাতি নেতা জয় বাংলা বলে চিল্লাচিল্লি করে। নিম্নতম লজ্জা থাকলে মুখ লুকিয়ে রাখত। এদের লজ্জা বলতে কোন জিনিস নাই। এরা হচ্ছে নেতা নামের কুলাঙ্গার।
কেউ কেউ লিখেছেন, আহারে এদিকে ছোট ছোট নেতাকর্মীরা তাদেরকে দেশে আনার জন্য কত নিষ্ঠার সাথে পরিশ্রম করে যাচ্ছে, পুলিশের মার খেয়েও রাজপথে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
নিহাল হক নামে একজন লিখেছেন, কর্মীদের ঘরে বাজার নাই!কিছু টাকার জন্য রাস্তায় মিছিল করে! আর নেতারা বিদেশে বসে দুবাই মলে হারাম টাকায় লাইফ ইঞ্জয় করছে!আর কর্মীদের বলছে তোমরা মাঠে নামো!যাতে করে এদের জীবন এর বিনিময়ে ক্ষমতার মিথ্যা নস্ট রাজনীতি করতে পারে!তার পরেও পাচাটা কর্মীদের চোখ খুলে না!
এরআগে এক ভাইরাল ভিডিওতে দুবাইয়ের সুপার মলে কেনাকাটা করতে দেখা যায় আওয়ামী সন্ত্রাসী শামীম ওসমানকে। এই ভিডিওগুলো প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকেই তার বিলাসবহুল জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, বিশেষ করে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দলের নেতাকর্মীদের বিপদের মুখে রেখে।
বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী, শামীম ওসমান গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। প্রথমে তিনি ভারতে গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে পরে দুবাই চলে যান।
তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থ পাচার, এবং বিভিন্ন বিতর্কিত কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছে এবং তাদের বিদেশ গমনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।