বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, গাজীপুর মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর, কালীগঞ্জ পূবাইল বাড়িয়া উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান এবং গাজীপুর-৫ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোঃ খায়রুল হাসান বলেছেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজও প্রকৃত নিরাপত্তার মুখ দেখেনি। রাজনৈতিক গোলামি, অর্থনৈতিক শোষণ এবং সাংস্কৃতিক আগ্রাসন আমাদের অস্তিত্বকে প্রতিনিয়ত আঘাত করে চলেছে।”
তিনি বলেন, “কাঁটাতারে ঝুলে থাকা ফেলানির লাশ আজও আমাদের সীমান্ত অরক্ষিত থাকার প্রতীক। এই বাস্তবতায় আমাদের আগামী নির্বাচনে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে আধিপত্যবাদী শক্তিকে পরাজিত করতে হবে। জনগণের মতপ্রকাশের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে গণতন্ত্রের প্রকৃত চর্চার মধ্য দিয়ে।”
রবিবার (৬ জুলাই) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি থানা শাখার ১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
১০ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ড সেক্রেটারি মোঃ নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কোনাবাড়ি থানা আমীর ও বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ডাঃ মোঃ কবির হোসেন, থানা জামায়াতের নায়েবে আমীর মোঃ মাইনুল ইসলাম, সেক্রেটারি মোঃ তাজবুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি আবু জাফর, অফিস সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মামুন, শুরা সদস্য আব্দুল হক প্রমুখ।
প্রধান অতিথি খায়রুল হাসান আরো বলেন, “বিগত ১৬ বছরের দুঃশাসনের কালো অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত জুলাই অভ্যুত্থানে। এই ঐতিহাসিক আন্দোলন প্রমাণ করে, জনগণ যখন জেগে ওঠে, তখন কোনো জালিম শক্তিই টিকে থাকতে পারে না। ন্যায়ভিত্তিক, ইনসাফপূর্ণ এবং ইসলামী জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিটি কর্মীকে জান-মালের কুরবানির মানসিকতা নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সকল পর্যায়ের জনশক্তিকে আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও আত্মত্যাগের নজরানা পেশ করতে হবে। তাহলেই বিজয় নিশ্চিত, ইনশাআল্লাহ।”
কোনাবাড়ী থানা আমীর ডাঃ মোঃ কবির হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আল্লাহর রাস্তায় সম্পদ ব্যয় শুধু সদকা নয়, বরং ইসলামী আন্দোলনের অপরিহার্য কর্তব্য। ইনফাক বা দান-কুরবানির মাধ্যমে ব্যক্তির ঈমান পরিপক্ব হয়, সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠা পায় এবং দাওয়াতি কাফেলা হয়ে ওঠে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর। সাহাবায়ে কেরাম তাঁদের জীবনে ইনফাকের যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তা আমাদের জন্য অনুসরণীয় আদর্শ।”
সম্মেলনে কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা, অঙ্গীকার ও দৃঢ় প্রত্যয়ের প্রকাশ ঘটে। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় সংগঠনের সক্রিয় ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।