বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, জনগণ এখন নির্বাচনমুখী, এতে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে তারাই রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাখ্যান করবে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের সকল জনগণ এখন নির্বাচনমুখী, বাংলাদেশে এখন নির্বাচনের আমেজ চলছে, আবহাওয়া চলছে। সকল প্রার্থীরা, সম্ভাব্য প্রার্থীরা এবং জনগণ ভোটে জনসংযোগে আছে। এই অবস্থায় কোনো দল যদি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করে জনগণ তাদেরকে চিহ্নিত করবে এবং রাজনৈতিকভাবে তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করার সম্ভাবনা আছে।
কিছু আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচনে বাধাগ্রস্ত করবার চেষ্টা করছে, দেশের ভেতরে ও বাইরে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে নিউইয়র্কে অবস্থানরত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস এক অনুষ্ঠানে বলেছেন। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সালাহ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণের এই যে নির্বাচনের প্রক্রিয়া তাতে বাধা সৃষ্টি করার জন্য কেউ কেউ ষড়যন্ত্র করছে সেটা দৃশ্যমান। এখানে আন্তর্জাতিক মহলও থাকতে পারে, দেশী-বিদেশী শক্তি সক্রিয় সেটা আমরা অনুমান করতে পারি। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তি পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণ সংকল্পবদ্ধ। এদেশের গণতন্ত্র উত্তরণের পথে যারাই বাধা সৃষ্টি করবে এবং কোনো রকমের ষড়যন্ত্র করবে সেটা দেশী হোক, বিদেশী হোক তাদেরকে তারা প্রতিহত করবে।
গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির আহ্বায়ক মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজা, সদস্য সচিব মাওলানা কাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে শেরে বাংলানগরে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন সালাহ উদ্দিন আহমদ। পরে তিনি মরহুম নেতার রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। ১৯৭৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল’ প্রতিষ্ঠা করেন।
সালাহ উদ্দিন বলেন, পিআর পদ্ধতি হচ্ছে, একটা পারমানেন্ট রেস্টলেসনেস পদ্ধতি। যার মধ্য দিয়ে দেশে এবং বিভিন্ন দেশে এটা দেখা গেছে যে, একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকে সব সময়ের জন্য। কোন স্থায়ী সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় না সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায়, কখনো মেজরিটির ভিত্তিতে সরকার গঠন করা সম্ভব হয় না, একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট থাকে, অস্থির অবস্থা থাকে। বাংলাদেশের মানুষ পিআর পদ্ধতির একটা জরিপে দেখলাম যে, ৫৬% মানুষ পিআর পদ্ধতির বিরুদ্ধে। কোন একটা জরিপে দেখলাম, কোন একটা দল বলছে যে, ৭০% পিআর চায়। যদি ৫৬% লোক পিআর পদ্ধতি নাই বুঝে তাহলে ৭০% লোক কীভাবে পিআর পদ্ধতি চায় সেটা আমাদের বুঝে আসে না।
তিনি বলেন, আমরা পিআর মানে মনে করি পাবলিক রিলেশন, আমরা পিআর মানে মনে করি, জনসংযোগ। সবাই জনসংযোগে আছে সেই পিআর এ আমরা বিশ্বাস করি। যারা প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন মানে পারমানেন্ট রেস্টলেসনেস প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা সফল হবে না।