জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে নারীদের গৃহবন্দী করবে বলে ইসলাম বিদ্বেষীরা অপপ্রচার চালাচ্ছে। অথচ একমাত্র ইসলাম নারীদের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়েছে। ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থায় কারো অধিকার কিংবা স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। বরং যারা মানুষের অধিকার কিংবা স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়, নষ্ট করে তাদের বিষয়ে ইসলামে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। আগামীতে জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দিলে; দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে দেশপ্রেমিক সকল নাগরিকের অংশগ্রহণে একটি বৈষম্যহীন কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র গঠন করা হবে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকা-৮ সংসদীয় আসনের রমনায় জামায়াতে ইসলামীর ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়নে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের গণসংযোগ পরবর্তী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও এদেশের মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ গ্রহণ করতে পারেনি। যখন যারা ক্ষমতায় বসেছে তারাই নিজস্ব মতবাদে রাষ্ট্র পরিচালনা করে মানুষকে শোষণ করেছে। ছাত্র-জনতা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ (ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার) দাবিতে আন্দোলন করেছে। মানুষের তৈরি আইনে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়নি, হবেও না। সেজন্য আগামী নির্বাচনে ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লার প্রতি দেশের জনগণ সমর্থন দিলে জামায়াতে ইসলামী ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। যেখানে কোন বৈষম্য, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, দখলবাজ থাকবে না। একটি নিরাপদ কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র জাতিকে উপহার দিতে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে এগিয়ে আসতে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আগামী ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ সফল করতে সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। পরে ড. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে রমনা এলাকায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী প্রচার সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আবদুস সাত্তার সুমন, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য ও রমনা থানার আমীর আতিকুর রহমান, থানা নায়েবে আমির এডভোকেট সুলতান উদ্দিন, থানা সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল ফারুকসহ মহানগরী ও থানা পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি
