চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের ওপর ছাত্রসেনা, ছাত্রলীগের কর্মীরা যৌথভাবে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে। হামলায় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৫টার সময় উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের আইরমঙ্গল এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বটতলী ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন জানান, আমাদের কর্মীরা ঈদ পরবর্তী কুশলাদি বিনিময়ের জন্য দায়িত্বশীলের বাড়িতে বেড়াতে যান। আগামী ১০ তারিখ আমাদের একটা মাহফিল হওয়ার কথা ছিল। সে মাহফিলকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, সোনার ছেলারা হামলা করেছে। আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত হামলাকারীরা সবাই আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ও যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ছাত্রসেনার দুর্বৃত্ত। সরকারের পতনের পরও তারা নানাভাবে তারা স্থানীয়দের হুমকি দিয়ে আসছে। ঘটনাস্থল এলাকায় একটি মাহফিল এর আয়োজন করার কথা ছিল। আয়োজনের কার্যক্রম, সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাহফিল প্রাঙ্গণ পরিদর্শন শেষে আসার সময় অতর্কিতভাবে হামলার শিকার হোন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। হামলার প্রত্যক্ষদর্শী সায়েম নামের এক স্থানীয় জানান, জামায়তের লোকজন যাওয়ার সময় কিছু মানুষ হঠাৎ করে হামলা করে। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরে এই ঘটনায় আহত মো. আলী হোসেন (৪০) থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় মারধরের সাথে জড়িত থাকায় ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন, নুর কালামের ছেলে নজিম উদ্দিন (২৬) আব্দুল বারীর ছেলে ছগীর (২৫), জামাল উদ্দিন ছেলে মো. বেলাল উদ্দিন (২৬), তৈয়ব তাহেরের ছেলে সিরাজুল মোস্তফা (২৮), আবু সৈয়দ ছেলে আরমান হোসেন (১৬), আব্দুর রশীদের ছেলে এয়ার মোহাম্মদ (৪০), নায় মিয়ার ছেলে মো. মহিউদ্দিন (৩০) সৈয়দ হোসেনে ছেলে রিয়াজুদ্দিন (২৮), মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে ওয়াজুদ্দিন (৩২), আব্দুল আজীজ (২৩), মো. ইদ্রিছ, আব্দুল বারী (৫৫) মাওলানা আবদুর রহমান (৪৫), মো. হেলাল (৩০)। এ ঘটনায় আরো ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগকারী আহত স্থানীয় জামায়াত মো. আলী হোসেন কর্মী বলেন, আমরা মাহফিলের মাঠ দেখে চলে আসতেছি। এর মধ্যে তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় আমাদের মোবাইল ও নগদ টাকা নিয়ে যায় তারা। হামলাকারীরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মনির হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। জামায়াতের দায়িত্বশীলরা এখানে এসেছে। একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।