সোনাগাজী (ফেনী) সংবাদদাতা: রুকনগন শপথের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে জান্নাতের আশায় জান-মালের কুরবানির সিদ্ধান্ত নেয়, শপথের সিদ্ধান্ত মৃত্যু পর্যন্ত। জীবনের প্রতি মুহুর্তে একজন রুকনকে রুকনিয়াতের শর্তাবলী মেনে চলার আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে হবে। রুকনগণ হবে আন্দোলনের মূর্ত প্রতীক। বাতিলের সামনে মাথা নত না করে দ্বীনের পথে অটল-অবিচল থাকার নাম রুকন। তাই ইসলাম প্রতিষ্ঠায় জামায়াতের রুকনদেরকে কুরবানী নজির স্থাপন করতে হবে। সোনাগাজী উপজেলা জামায়াতের রুকন শিক্ষা বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের কুমিল্লা মহানগরী আমীর ও কেন্দ্রিয় কর্মপরিষদ সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদ উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

উপজেলা আমীর মাওলানা মোহাম্মদ মোস্তফার সভাপতিত্বে ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাস্টার বদরুদ্দোজার পরিচালনায় রুকন শিক্ষা বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সাবেক জেলা আমীর এ.কে.এম সামছুদ্দিন, জেলা আমীর মুফতি মাওলানা আবদুল হান্নান। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ফখরুদ্দিন, মাওলানা ফেয়ার আহাম্মদ মজুমদার, সাবেক উপজেলা আমির মাওলানা মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন, পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা কালিম উল্যাহ, নায়েবে আমীর মাওলানা মোহাম্মদ হোছাইন, উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা বেলায়েত হোসেন ও মাওলানা জিয়াউর রহমান, সাউথ আফ্রিকা ইসলামী আন্দোলন নেতা মেছবাহ উদ্দিন ফারুক প্রমুখ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফেনী জেলা আমীর মুফতি মাওলানা আবদুল হান্নান বলেন, ইসলামী আন্দোলনের ময়দানে সংগঠনের রুকনদেরকে রুকনিয়াতের শর্তগুলো মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে। সংগঠনের রুকনদেরকে সত্যের স্বাক্ষ্য হিসেবে ময়দানে উপস্থাপন করতে হবে। জামায়াতের সাবেক আমিরে জামায়াত সহ কেন্দ্রিয় দায়িত্বশীলগণ এ দ্বীনের পথে শহিদ হয়ে সত্যের স্বাক্ষ হিসেবে বিশ্বের দরবারে নিজেদেরকে উপস্থাপন করে গৌরবের ইতিহাস স্থাপন করে গেছেন। তিনি আরো বলেন, আল্লাহর কাছে জবাবদিহির আশায় দ্বীনি অনুভুতি সহকারে সংগঠনের অর্পিত দায়িত্ব রুকনদেরকে পালন করতে হবে।