বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে প্রতিটি ভোটারের সেখানে মূল্যায়ন হবে। প্রতিটা ভোটারের ভোটের কার্যকারিতা নিশ্চিত হবে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে এককভাবে সরকার ক্ষমতায় যাওয়া এবং ফ্যাসিস্ট তৈরি হওয়ার সুযোগ থাকবে না। পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে ভোট হলে কালো টাকার দৌরাত্ম্য তৈরি ও পেশিশক্তি তৈরি হবে না। তিনি গতকাল শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর ও উপজেলা শাখা আয়োজিত শহীদ সাটু হলে ভোট সেন্টার প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর প্রতি ফ্যাসিস্ট সরকারের যে জুলুম, নির্যাতন এবং নেতাকর্মীদের উপর যে মর্মান্তিক হত্যাকান্ড চালিয়েছে, জনগণ তার এখন জবাব দেওয়া শুরু করেছে। ডাকসু ও জাকসুর বিজয়, সেই কথায় প্রমাণ করে। বর্তমান যুব সমাজ এবং জনগণ জামায়াতকে বেছে নিয়েছে। তারা দেখেছে ৫ আগস্টের পর একটি দল যখন দেশে চাঁদাবাজি-লুটপাট শুরু করেছে, তখন আরেকটি দল দেশ গঠনে মনযোগী হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আগামীর মানবিক, বৈষম্যহীন একটি কল্যাণ রাষ্ট্র ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বির্নিমাণে যুব সমাজকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আল কুরআনকে বিজয় করার আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে হবে। একটি মানবিক সমাজ ও বাংলাদেশ বির্নিমাণে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে মানবতার কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে। নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বর্তমান সরকার ভূল করলে সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত থেকে আরম্ভ করে বক্তৃতা ও বিবৃতির মাধ্যমে প্রতিবাদ করা হয়েছে। শহিদ পরিবার এ দেশের ১৮ কোটি মানুষের সম্পদ। শহিদ পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়ার দায়িত্ব আমীরে জামায়াত নিয়েছে।
জুলাইয়ের চেতনাকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ছড়িয়ে দিতে জামায়াত ব্যাপক ভূমিকা নিয়েছেন। আমীরে জামায়াত শহিদ পরিবারের ইতিহাস সম্বলিত দলিল ৪টি ভাষায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দেয়া আপনারা জানতে পারছেন, যা সরকারের দায়িত্ব ছিল। দেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার ও গণহত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত হলে জাতি উৎসবমুখর নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নিতে পারবে। ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক সমাজ গড়তে এবং আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠায় আগামী নির্বাচনে ইনসাফের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লায়’ ভোট দিয়ে জামায়াত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে। তবেই দেশ দুঃশাসন থেকে মুক্তি পাবে ইনশাআল্লাহ। তিনি আরো বলেন, ছাত্রজনতা ও কৃষক রক্ত দিয়ে তাদের একটি স্লোগান ছিল বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ। এই বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ একটা ব্যব¯’াই দিতে পারে ইসলামী রাষ্ট্র ব্যব¯’া। নতুন বাংলাদেশ গড়তে যুবসমাজকে যেকোনো ত্যাগে প্র¯‘ত থাকতে হবে। দ্বীনকে বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠায় আপোষহীন ভূমিকা রাখতে হবে। আগামীতে জামায়াত ইসলামীকে দেশের জনগণ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিলে উন্নয়নশীল বাংলাদেশকে উন্নত বাংলাদেশে রূপ দেওয়া হবে। নূরুল ইসলাম আরও বলেন, দেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার ও গণহত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত হলে জাতি উৎসবমুখর নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নিতে পারবে। ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক সমাজ গড়তে এবং আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠায় আগামী নির্বাচনে ইনসাফের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লায়’ ভোট দিয়ে জামায়াত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে। তবেই দেশ দুঃশাসন থেকে মুক্তি পাবে ইনশাআল্লাহ। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ আবু বকরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবুজার গিফারী, পৌর আমির হাফেজ গোলাম রাব্বানী, সদর উপজেলার আমির হাফেজ আব্দুল আলিম প্রমুখ।