গাজীপুর-৫ (কালিগঞ্জ-পূবাইল) আসনের জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী মোঃ খায়রুল হাসান বলেছেন, অপপ্রচার বা মিথ্যাচার চালিয়ে কালিগঞ্জ-পূবাইলের জনগণ থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করা যাবেনা ইনশাআল্লাহ। এই জনপদের মানুষের ভালোবাসা, আস্থা এবং ঐক্যই আমার প্রকৃত শক্তি।
সম্প্রতি সরকারি কালিগঞ্জ শ্রমিক কলেজ ও কালিগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁর সৌজন্য সাক্ষাৎকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও অশালীন পোস্ট ছড়ানো হয়। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি একজন শিক্ষক হিসেবে সবসময় শিক্ষা, সচেতনতা ও ইতিবাচক পরিবর্তনের পক্ষে। শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে, তাদের মেধা ও মনন বিকাশের কথা বলতে কলেজে গিয়েছিলাম। আমি কখনো ক্লাসে প্রবেশ করিনি, বরং পড়ালেখায় বিঘ্ন না ঘটে সেদিকেও সতর্ক থেকেছি।
তিনি আরও বলেন, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে জনগণের কাছে যাওয়া, কথা বলা, তাদের ভাবনা জানা এবং নতুন প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখানো—এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। আমি চাই, তরুণরা জ্ঞান ও নৈতিকতায় গড়ে উঠুক, যেন তারা আগামী দিনের আলোকিত বাংলাদেশ নির্মাণে নেতৃত্ব দিতে পারে।
খায়রুল হাসান অভিযোগ করেন, যারা এখন অপপ্রচার করছে, তারাই একসময় অন্য প্রার্থীর পক্ষে কলেজে লিফলেট বিতরণ করেছে, এমনকি মসজিদের ইমামদের বাধ্য করেছে মিটিংয়ে অংশ নিতে। কিন্তু আমি কাউকে বাধ্য করিনি, কাউকে বিভক্ত করিনি, বরং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার বার্তাই দিয়েছি।
তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশে গায়ের জোর, ভয় দেখানো, মামলা-হামলা কিংবা ট্যাগিংয়ের রাজনীতি আর চলবে না। তরুণ সমাজ এখন অনেক বেশি সচেতন ও আত্মবিশ্বাসী। জনগণ চায় উন্নয়ন, সততা ও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব। আমি তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে চাই।
খায়রুল হাসান জোর দিয়ে বলেন, ২৪ জুলাইয়ের পর বাংলাদেশ হবে সত্য ও ন্যায়ের পথে এগিয়ে যাওয়া এক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানে সবাই স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করবে, জনগণ যাকে চাইবে তাকেই গ্রহণ করবে।
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি রাজনীতি করি বিভেদ নয়, সহমর্মিতা ও উন্নয়নের জন্য। কালিগঞ্জ-পূবাইলের প্রতিটি মানুষ আমার পরিবার। আমি এই জনপদের মাটি, নদী, বৃক্ষ ও মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা লালন করি। আমার স্বপ্ন—এই অঞ্চলকে শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতিতে একটি মডেল জনপদে রূপান্তর করা।
বক্তব্যের শেষ অংশে তিনি বলেন—
“হাসবুনাল্লাহ ওয়া নি'য়মাল ওয়াকিল, নি'য়মাল মাওলা ওয়া নি'মান্নাছির।
তিনি সকলের জন্য কল্যাণ, শান্তি ও ঐক্যের বাংলাদেশ কামনা করেন।