বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া স্ট্যাটাসে বলেছেন, মিটফোর্ডের ঘটনা বিদেশে অবস্থানরত থাকা অবস্থায় জেনে সকল ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।

এ কোন যুগ! কোন সমাজ! প্রকাশ্য দিবালোকে একজন ক্ষুদ্র, সাধারণ ব্যবসায়ীকে শুধু চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে শত শত মানুষের সামনে কতটা নির্মমভাবে হত্যা করা হলো!

হে ক্ষতিগ্রস্ত মজলুম পরিবার, আমরা তোমাদের কাছে লজ্জিত। হে ব্যবসায়ী ভাই সোহাগ, তোমার এই পরিণতি হওয়ার আগে সত্যিকারের কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলাম না Ñ এজন্য আমরা আন্তরিকভাবে লজ্জিত।

হে সমাজ, জেগে উঠো! মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার প্রমাণ দাও। মনে রেখো Ñ আজ তুমি কারো বিপদে চুপ থাকলে, আগামীকাল তোমার ওপর এর চেয়েও বড় বিপদ এলে, তখন তুমি কাউকে পাশে পাবে না।

অতএব, ভয় ও সংকোচ উপেক্ষা করে আমাদেরকে সমস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই হবে।

এ দিকে গতকাল অপর স্ট্যাটাসে বলেন, (এক.) চাঁদপুর সদর উপজেলার প্রফেসর পাড়া মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা খতিব মাওলানা আ.ন.ম. নূর রহমান মাদানীর ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।

এই হত্যাচেষ্টাকে কেন্দ্র করে চরমপন্থী মানসিকতা-সম্পন্ন লোকটি খতিবের ওপর হামলা করে যে জঘন্য অপরাধ করেছে, তার দৃষ্টান্তমূলক ও আশু শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। তাহলে আর কোনো দুর্বৃত্ত ভবিষ্যতে অতীতের মতো এ ধরনের অপকর্ম করার সাহস পাবে না।

(দুই.) খুলনায় যুবদলের বহিষ্কৃত যে নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, তার প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

সামগ্রিক এই অবস্থায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায় এর দায় এড়ানো যাবে না।