গতকাল ১৯ জুন পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দেওয়া জুলাই ঐক্যের আল্টিমেটামের মধ্যে স্বৈরাচারের দোসর ৫ আমলাকে বাধ্যতামূলক অবসরে দেওয়া হলেও তালিকায় থাকা আরও ৩৯ জন আমলার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দাবি জানিয়েছে ‘জুলাইয় ঐক্য’।

শুক্রবার (২০ জুন) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৩ জুন ৪৪ আমলাদের অপসারণের দাবিতে মার্চ টু সচিবালয় কর্মসূচি পালন করে জুলাই ঐক্য। কর্মসূচি চলাকালীন সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সঙ্গে বৈঠক করে ১৯ জুন পর্যন্ত্র সময় বেঁধে দেওয়া হয় জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে। গতকাল ১৯ জুন সরকার দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করায় অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানায় জুলাই ঐক্য।

তবে সাতক্ষীরা জেলায় ২০১৩-১৫ সাল পর্যন্ত বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় বুলডোজার চালানো সাবেক ডিসি ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব নাজমুল আহসানের বিষয়টি নিয়ে এখোনও কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে বাধ্যতামূলক অবসরে দেওয়া সচিবসহ তাদের পরিবারের সকলের ব্যাংক হিসাব জব্দ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রুহণ করার দাবি জানাচ্ছি।

ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে যারা শেখ হাসিনার অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ফের মাঠে নামবে জুলাই ঐক্য।

আগামী ৩৬ জুলাইয় অর্থাৎ ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই ঐক্য থেকে প্রকাশ করা স্বৈরাচারের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ঢাকার প্রবেশ মুখে ব্লকেড কর্মসূচির মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

অবসরে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (সচিব) কাজী এনামুল হাসান, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক (সচিব) সুকেশ কুমার সরকার, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) মুহম্মদ ইব্‌রাহিম, জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) মো. সহিদ উল্যাহ এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) লিপিকা ভদ্র।