দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় ও জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দ্বীপ কুতুবদিয়ার সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের নিরাপদ ও কার্যকর যোগাযোগ স্থাপন নিশ্চিত করতে কুতুবদিয়া-মগনামা চ্যানেলে ফেরি সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ।

নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম শাখাওয়াত হোসেনের কাছে দেয়া ডিও লেটারে তিনি দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ, যোগাযোগ সংকট ও মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়টি তুলে ধরেন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে কুতুবদিয়া দ্বীপে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ বসবাস করেন, যাদের প্রধান জীবিকা মাছ ধরা, লবণ উৎপাদন ও কৃষিনির্ভর। দ্বীপটির সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ এখনো ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও স্পিডবোটের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। বিশেষ করে নারী, শিশু, গর্ভবতী নারী ও রোগীদের জন্য এটি ভয়াবহ দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সম্প্রতি এক গর্ভবতী নারী স্পিডবোটেই সন্তান প্রসব করেন—এমন হৃদয়বিদারক ঘটনাও চিঠিতে তুলে ধরা হয়। তিনি বলেন, জোয়ার-ভাটার কারণে জেটি ও নৌকার মধ্যে ব্যবধান তৈরি হয়ে চরম বিপত্তি ঘটছে, যা জনসাধারণের চলাচলে ঝুঁকি ও দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

ফেরি সার্ভিসের জন্য তিনটি সম্ভাব্য রুট প্রস্তাব করা হয়েছে: (এক) মগনামা ঘাট থেকে বড়ঘোপ ঘাট (৩.৭৫ কিমি), (দুই) মগনামা ঘাট থেকে দরবার ঘাট (৪ কিমি), (৩) ছনুয়া ঘাট থেকে ধুরুং ঘাট (১.৮৪ কিমি)।

সাবেক এমপি হামিদ আযাদ বলেন, সন্দ্বীপ ও মহেশখালীতে ফেরি ও সী-ট্রাক চালুর সুফল ইতোমধ্যে দৃশ্যমান। কুতুবদিয়াতেও ফেরি সার্ভিস চালু হলে স্বাস্থ্যসেবা, পর্যটন, কৃষিপণ্য পরিবহন এবং দ্বীপবাসীর জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হবে। ফেরিঘাটের দুইপাশে স্থলপথে সংযোগ সড়ক নির্মাণে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দ্রুত পদক্ষেপও কামনা করেন তিনি।