বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা বলেছেন, রহমত, মাগফিরাত ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির মোবারক মাসের মধ্য দশক চলছে। তাই এ দশকে মাগফিরাত লাভের জন্য একনিষ্ঠ সিয়াম ও কিয়াম পালন এবং দান-খয়রাতে আত্মনিয়োগ করতে হবে। তিনি রমযানের প্রশিক্ষণকে কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে বাস্তবজীবনে প্রতিফলন ঘটাতে সকলের প্রতি আহবান জানান।

গত সোমবার দক্ষিণখান উত্তর থানা জামায়াত আয়োজিত সাহেবে নিসাব ও সুধীদের সম্মানে ইফতার মাহফিল ও থানার স্থায়ী অফিস উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। থানা আমির মাওলানা মোঃ মোস্তাকিম আলমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা হারুনুর রশিদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় থানা মজলিসে শূরা, কর্মপরিষদ, ওয়ার্ড দায়িত্বশীলবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আব্দুর রহমান মূসা বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের হেদায়েতের জন্য পবিত্র কালামে হাকিম পাঠিয়েছেন। আমরা পেয়েছি একটি পরিপূর্ণ, শাশ্বত ও নির্ভুল জীবন বিধান। আমরা যাতে নির্মূল জীবন বিধান অনুসরণ করে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি লাভ করতে পারি, সে জন্যই যুগে যুগে নবী-রাসূলগণকে প্রেরণ করা হয়েছে। আর আল্লাহর বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করলে দুনিয়াতে থেকে সকল জুলুমাতের অবসান ঘটে এবং নূর তথা আলোকিত রাস্তা প্রস্তুত হয়। তাই আল্লাহর দেয়া জীবন বিধান সকলকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে। কেউ আংশিক অনুসরণ করলে তাকে দুনিয়াতে লাঞ্ছিত হতে হবে এবং আখেরাতে অপমানকরভাবে ধাক্কিয়ে ধাক্কিয়ে জাহান্নামে পাঠানো হবে। তিনি দ্বীনের পরিপূর্ণ বিজয়ের লক্ষ্যে সকলকে এক প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, দীর্ঘ স্বৈরশাসনে রাষ্ট্রের সকল অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে। অপশাসন-দুঃশাসন, হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, দুর্নীতি ও অনিয়ম পুরো দেশকেই অক্টোপাশের মত চেয়ে ধরেছে। মূলত, দেশে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠিত না থাকায় নাগরিকরা তাদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর মানবরচিত আদর্শ দিয়ে দেশ পরিচালনার কারণে সমাজ-রাষ্ট্রে এতো অশান্তি। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির জন্য সকলকে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি সুদভিত্তিক অর্থনীতির বিপরীতে যাকাতভিত্তির ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।