জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি হিসেবে চলতি মাসের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা না হলে আগামী ৩ আগস্ট সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি ও ‘কফিন মার্চ’-এর ঘোষণা দিয়েছে জুলাই অভ্যুত্থান ভিত্তিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ। গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করে। চিঠিতে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মত্যাগকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দেওয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ উসমান হাদি বলেন, ইতোপূর্বে একাধিকবার সময় নিয়েও সরকার সনদ ঘোষণা করেনি। এটি জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে প্রতারণা। যদি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সনদ ঘোষণা না হয়, তবে ৩ আগস্ট চূড়ান্ত মুক্তির ডাক দিয়ে সচিবালয় ঘেরাও ও কফিন মার্চ করা হবে। তিনি আরো জানান, কফিন মার্চে সরকারের প্রত্যেক উপদেষ্টার জন্য একটি করে কফিন রাখা হবে। সেই কফিন বহন করবেন নিহতদের পিতা-মাতারা।

সংগঠনটির আরেক সদস্য আব্দুল্লাহ আল জাবের সংবাদ সম্মেলনে খোলা চিঠিটি উপস্থাপন করেন। সেখানে বলা হয়, ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা স্বাগত জানিয়েছিলাম, কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও জুলাইয়ের শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দেওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। মূলত ১৫০০ শহীদের আত্মত্যাগকে অবজ্ঞা করে রাষ্ট্র নিস্ক্রিয় থেকেছে। চিঠিতে আরো বলা হয়, জনতার রক্তের দায় নিয়ে গঠিত সরকার যদি সেই জনতার দাবিকে অগ্রাহ্য করে, তবে তা জনতার সঙ্গে প্রতারণা। ইনকিলাব মঞ্চ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, সরকার কফিনে চড়ার আগেই সনদ ঘোষণা করে রক্তের ঋণ শোধ করবে।

এছাড়াও মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইনকিলাব মঞ্চ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করে। এর মধ্যে রয়েছে- নিহত ও আহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা;আহতদের বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা;অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গঠন করা;সামরিক খাতকে আধুনিক ও শক্তিশালী করা।

এসময় শহীদের আত্মত্যাগের মর্যাদা রক্ষায় অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে সংগঠনটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।