চট্টগ্রাম মহানগরীর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারের দোসরদের কবল থেকে জাতি এখনো ও মুক্ত হতে পারেনি। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন পদে এখনো আওয়ামী দোসরা বসে আছে। আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে হলে জনগণকে জুলাই গণবিপ্লবের চেতনায় দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দখলবাজদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী শফিউল আলমকে বিজয়ী করতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশবাসী যে ত্যাগ ও কুরবানি পেশ করেছে তার বদলায় একটি সুখী সমৃদ্ধশালী নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। তিনি দেশের জনগণের আশার প্রতিফলনের জন্য সকল ইসলামি ও দেশ প্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের ত্যাগের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।

শুক্রবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বন্দর থানার উদ্যোগে আয়োজিত চট্টগ্রাম ১১ আসনের নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বন্দর থানা জামায়াতের আমীর মাহমুদুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইকবাল শরীফ এবং এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফিরোজ আহমদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ,

চট্টগ্রাম মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এস এম লুৎফুর রহমান, চট্টগ্রাম ১১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউল আলম, মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি আবু তালেব চৌধুরী, চট্টগ্রাম ১১ আসনের সদস্য সচিব ও সদরঘাট থানা আমীর মুহাম্মদ আব্দুল গফুর, ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরীর নেতা তানভীর মোস্তফা, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বন্দর থানা সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম আদনান, ছাত্রশিবির বন্দর থানার সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম কুতুবী প্রমুখ।

জেসমিন আকতারকে দেখতে গেলেন নেতৃবৃন্দ : চট্টগ্রাম মহানগরীর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ নারী-শিশু সহ সর্বস্তরের মানুষকে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে গণহত্যা চালিয়েছিল। তার অংশ হিসাবে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ এ ডবলমুরিং মনছুরাবাদে পুলিশের গুলীতে মারাত্মক আহত হন গার্মেন্টস কর্মী জেসমিন আকতার। বর্তমানে সে পঙ্গু অবস্থায় জীবন যাপন করছে। সেই গার্মেন্টসের চাকুরীও হারিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী জুলাই আহতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাদের বাসায় যান ও খোঁজ খবর নেন। এর সময় তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ের শহীদ ও আহতদের ত্যাগের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ আমরা উপহার পেয়েছি। শুক্রবার ডবলমুরিং থানার মনছুরাবাদস্থ বাসায় আহত জেসমিন আকতারকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য চট্টগ্রাম মহানগরী এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, নগর অফিস সম্পাদক হামেদ হাসান ইলাহী, ডবলমুরিং থানা আমীর ফারুকে আজম, জামায়াত নেতা সাইফুল ইসলাম, মাকসুদুর রহমান, আহত জেসমিন আকতারের মা ফাতেমা বেগম প্রমুখ।

আহত জেসমিন আকতারসহ সকল জুলাই শহীদ ও আহতদের জন্য দোয়া কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমীর পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।