বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ২ দিনব্যাপী নববর্ষ ২০২৬ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহিদুল ইসলাম বলেন, “ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রতিবছর সৃজনশীল প্রকাশনা তৈরি করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ছাত্রশিবির আজ এ পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। এই যাত্রা ছিল অত্যন্ত কঠিন। ছাত্রশিবিরের সফলতা কেউ কখনো সহজে মেনে নিতে পারেনি। এখন পর্যন্ত আমাদের জুলাইসহ ২৩৪ জন ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। গুম, খুন, জুলুম ও নির্যাতনের মধ্য দিয়েই নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে।”

Untitled.jpg৩

তিনি আরও বলেন, “প্রকাশনাগুলো দিন দিন শিক্ষার্থীদের কাছে আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। আমাদের প্রায় ৩০০ রকমের প্রকাশনা উপকরণ রয়েছে। ‘১ পাতায় মসজিদ’—এটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্যসমৃদ্ধ একটি চমৎকার সামাজিক ধারণা উপস্থাপন করা হয়েছে। ‘৩ পাতার ক্যালেন্ডার’ তরুণ প্রজন্মের জন্য এক অনন্য স্বপ্ন। এটি রীতিমতো একটি গবেষণাপত্র। কোনো প্রকাশনা অনর্থক তৈরি করা হয়নি। প্রতিটি প্রকাশনা সামগ্রীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে কঠোর পরিশ্রম, আবেগ ও অনুভূতি। এটি ছাত্রসমাজের জন্য পাথেয়।”

সবশেষে তিনি সবাইকে প্রদর্শনীতে এসে এসব প্রকাশনা দেখার ও একে অপরকে উপহার প্রদানের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী, গবেষণা সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি ও ডাকসু জিএস এস. এম. ফরহাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি রেজাউল করিম শাকিল, মেডিকেল জোন সভাপতি ডা. যায়েদ আহমেদ এবং ডাকসুর আন্তর্জাতিক সম্পাদক খান জসিম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্র, বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগর শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

Untitled.jpg১

প্রকাশনা উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন ছাত্রশিবির সভাপতি। এরপর সকল প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সেক্রেটারি জেনারেল। একই সঙ্গে সকল কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট সদস্যরা প্রকাশনার প্রদর্শন করেন।

পরবর্তীতে প্রদর্শনীতে কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ঘুরে ঘুরে দেখেন, প্রতিটি স্টল পরিদর্শন করেন, দর্শনার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন, প্রকাশনা উপহার প্রদান করেন এবং মন্তব্য বোর্ডে স্বাক্ষর করেন।

প্রদর্শনীতে স্টলগুলোর মধ্যে ছিল জুলাই স্মারক গ্রন্থ, বাংলা ও ইংরেজি ডায়েরি, ৩ পাতা ক্যালেন্ডার, ১ পাতা ক্যালেন্ডার, ডেস্ক ক্যালেন্ডার, ইয়ার প্ল্যানার, জুলাই স্মৃতি সংকলন, প্রকাশনা আর্কাইভ, বিজ্ঞান বন্ধু, শিশু-কিশোর কার্নিভাল ও মন্তব্য বোর্ড।

উল্লেখ্য, ৯ ও ১০ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ২ দিনব্যাপী এ প্রকাশনা উৎসব চলবে।