ফ্যাসিবাদের সময় প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করবার চক্রান্ত হয়েছিলো বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সেই ইতিহাস তারা (আওয়ামী লীগ) ১৫ বছর ধরে বিকৃত করেছে। কিন্তু বাস্তবতা এমন যে-কেউ ইচ্ছে করলেই সঠিক ইতিহাসকে ভুলে যাওয়া যায় না, বিকৃত করা সম্ভব হয় না। আজকে এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, মুক্ত চিন্তার মধ্য দিয়েই সঠিক ইতিহাস আমরা জানতে পারি। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বই মেলায় বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন ও সংস্কার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশ স্বাধীনের পর আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ছিলো বাকশাল। সেখান থেকে নিয়ে এসেছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্র, মুক্ত সংবাদপত্র। সংস্কার জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন। এটা এখন অনেকেই ভুলে গেছেন। এই তরুণ প্রজন্মের অনেকেই হয়তো জানেন না যে বাকশালের মধ্য দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো সকল সংবাদপত্র। জিয়াউর রহমান সেটা মুক্ত করে দিয়েছিলো, মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আর বেগম খালেদা জিয়া তিনি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকরের বিধান নিয়ে এসেছিলেন, সংবিধানে সন্নিবেশিত করেছিলেন। আজকে আবার সবাই একমত হচ্ছে, বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি, সে সংস্কৃতির প্রেক্ষিতে এমন একটা ব্যবস্থা থাকা উচিত যেনো নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার থাকে। আমরা সে দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে পথকে আরও সহজ করে নিয়ে আসবে। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ প্রমুখ।
রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ : এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই গতকাল বুধবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বিকাল সাড়ে তিনটায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বৈঠক শুরু হয়ে ঘণ্টা খানেক চলে।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। রাষ্ট্র্রদূতের সঙ্গে ছিলেন দূতবাসের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ক্রিশ্চিয়ান বেক।
পরে আমীর খসরু সাংবাদিকদের বলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে আরও ভালো করা যায় তা নিয়ে আমাদের মধ্যে মতবিনিময় হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তিনি বলেন, নির্বাচন, অর্থনৈতিক ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রদূত আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে। আমরা তা বলেছি।