রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে বিএনপির অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের নেতা কর্তৃক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পাথর দিয়ে হত্যা এবং সারাদেশে অব্যাহত চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদল।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ মিনার এলাকায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়৷ এসময় মিছিলে "খুনিদের আস্তানা ভেঙ্গে দাও, গুড়িয়ে দাও" "সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আগুন জ্বালো একসাথে ", ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনীকের সঞ্চালনায় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এসময় জাবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন হাবীব হিরণ বলেন, বর্তমানে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার ইন্টেরিম সরকার দ্রুত বাস্তবায়ন করবে। সোহাগ হত্যায় যেমন আমাদের হৃদয়কে ব্যতীত করেছে, ঠিক তেমনি ব্যতীত করেছে খুলনায় প্রকাশ্যে দিবালোকে পায়ের রগ কেটে হত্যাকাণ্ডেও। আমরা পারভেজ হত্যাকাণ্ডে রাজপথে ছিলাম, সাম্য হত্যাকাণ্ডেও আমরা রাজপথে ছিলাম। আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজপথে সদা সজাগ থাকবে।
জাবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আফফান আলী বলেন, রাজপথে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আপোসহীন ভাবে ছিলে এবং সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলছে। মিডর্ফোডের হত্যা হচ্ছে জঘন্যতম হত্যা, একই সাথে আরও দুটি হয়েছে খুলনায় যুবদলের এক কর্মীকে রগকেটে হত্যা করা হয়েছে আমরা জানি কারা করে। আমরা দেখেছি চাঁদপুরের মসজিদের ইমামকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এ হত্যাকন্ডকে নিয়ে কোনো কথা হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা কেনে হত্যাকে প্রশ্রয় করি না। আমরা দাবি জানাই অবিলম্বে সকল মব হত্যা বন্ধ করতে হবে। যারা বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। সেই সাথে প্রতিটি হত্যা বিচার করতে হবে। আমরা দেখেছি হাসিনার আমলে যে হত্যা হয়েছে তার মতো আর যেন কোনো হত্যা না হয়। যারা হত্যার বিষয়কে তারেক জিয়ার সঙ্গে লাগাতে চান তাদেরকে বলতে চাই, তিনি বলেন যারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের নাম ভেঙ্গে অপরাধ করে তাদের বিচার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এছাড়া সকল হত্যার দায় ইন্টেরিমকে নিতে হবে।
জাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, "জুলাই পরবর্তী আমরা চেয়েছিলাম একটি সাম্য ও ন্যায় বিচারের রাষ্ট্র। অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমরা দেখেছি, গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি হলেও দিনদিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি শুরু থেকে এসব হত্যা, মব কালচারের সুষ্ঠু বিচার করে দোষীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতো তাহলে, বারবার এ দেশে মব কালচারের মাধ্যমে মানুষ হত্যার সাহস করতে পারতো না। আমরা মনে করি, শুধু একটি বিশেষ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে কোন ধরনের মব কালচারকে মিডিয়া ট্রায়াল হতে উসকে দেয়া যাবে না। আমরা মনে করি, যারা এসব হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তাদের কোন দল নেই, তাদের কোন আদর্শ নেই।"