বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক শ্রমিক নেতা মাস্টার শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ইসলামের পতাকাবাহী দেশের একমাত্র শ্রমিক সংগঠন। ইসলামী শ্রমনীতির বাস্তবায়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সংগঠনের শাখা প্রশাখা দেশের সর্বত্র পৌঁছিয়েছে। এখন প্রয়োজন সর্বস্তরের শ্রমিক জনতাকে এই সংগঠনের পতাকাতলে সমবেত করা। তিনি বলেন, ইসলামী আদর্শের প্রতি দিন দিন জনগণের আগ্রহ উদ্দীপনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের শ্রমিক জনতা আদর্শ শ্রমিক সংগঠনে সম্পৃক্ত হতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে। এমতাবস্থায় দ্বীনের দায়ীদের প্রয়োজন সকল শ্রমিক জনতার কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করা। আমাদেরকে সর্বোত্তম কৌশল অবলম্বন ও হিকমতের সাথে সকল পর্যায়ের শ্রমিক জনতার কাছে ইসলামী শ্রমনীতির অনস্বীকার্যতা তুলে ধরতে হবে। ইসলামী শ্রমনীতি ছাড়া দেশের মেহনতি শ্রমজীবী মানুষের মুক্তি যে অসম্ভব শ্রমিক জনতার কাছে উপস্থাপন করতে হবে। যেদিন সর্বস্তরের শ্রমিক জনতা ইসলামী শ্রমনীতির পক্ষে কণ্ঠস্বর উঁচু করবে সেদিন এদেশে শ্রমিক জনতার উপর যুগযুগ ধরে চলে আসা শোষণ-নির্যাতন ও নিপীড়নের অবসান ঘটবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, দাওয়াতি কাজের এই উত্তম সময় সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা যথাযথপন্থায় কাজে লাগাবে এবং আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য হাসিলের দিকে আমরা দৃঢ়পদে এগিয়ে যেতে হবে। খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানার ৮ ও ১১ নং ওয়ার্ড শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত শ্রমিক যোগাযোগ পক্ষে পিপলস জুট মিলস মোড়ে পাট শ্রমিকদের মাঝে দাওয়াতী কাজ ও সাধারণ সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
বদরুর রশিদ মিন্টুর সভাপতিত্বে ও সাইদুর রহমান সাঈদ এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, সহ-সভাপতি এস এম মাহফুজুর রহমান, থানা সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, বুলবুল কবির। অন্যান্যের মধ্যে শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম, মোখলেছুর রহমান, আব্দুল বারী, ফারুক হাওলাদার, মুহিব্বুর রসুল, হুমায়ুন কবির, বেবী জামান, মমিন চৌধুরী, এমদাদুল হক, হেলাল, কুটি, সাঈদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মাস্টার শফিকুল আলম বলেন, ২৫ সালের শ্রমিক যোগাযোগ পক্ষ বিশেষভাবে অর্থবহ। বিগত স্বৈরাচার আমলে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের উপর জুলুম নিষ্পেষণের কারণে গণমানুষের কাছে ইসলামের সুমহান দাওয়াত পৌঁছানো দুঃসাহসিক ও দুর্বিষহ ছিলো। স্বৈরাচারের পতন পরবর্তী অনুকূল পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে ইসলামের অনুকূলে জনমত গঠনে শ্রমিক যোগাযোগ পক্ষ পালন বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
আজিজুল ইসলাম ফারাজী বলেন- স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে শ্রমজীবী মানুষের নিকট ইসলামের সুমহান দাওয়াত পৌঁছাতে সেক্টরভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের দ্বারে দ্বারে, প্রতিটি সেক্টর, পাড়া-মহল্লায় দাওয়াত পৌঁছাতে সকল সদস্য, কর্মী ও দায়িত্বশীলদের বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে।