সম্প্রতি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতদানকারী এক বাউলের মুক্তির জন্য বিশেষ গোষ্ঠীর প্রকাশ্যে অবস্থান গ্রহণ দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য হুমকির কারণ। মহান আল্লাহকে প্রকাশ্যে কটূক্তিকারীর কোন শাস্তি দাবি না করে যারা তার মুক্তি দাবি করছে তারাও সমপর্যায়ের অপরাধী। এই গোষ্ঠীটি প্রায় সময়ে দেশীয় মূল্যবোধ ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতদানকারীদের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে থাকে। প্রশাসনকে এই গোষ্ঠীর অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক থেকে এ আহবান জানানো হয়। বৈঠকে ধর্মীয় অনূভূতিতে আঘাতদানকারী আবুল সরকারের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি দেশবাসীকে দেশের স্বার্থবিরোধী অপশক্তির বিভিন্ন উস্কানি ও ষড়যন্ত্রের ফাঁদ থেকে আরো সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।

খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর আহমদ আলী কাসেমীর বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

দলটির কেন্দ্রীয় প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরুর পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।

সাপ্তাহিক কেন্দ্রীয় নির্বাহী বৈঠকে খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো নাজুক। অথচ সামনে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির অন্যতম শর্ত হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সাধন করা। পেশীশক্তি ও কালো টাকার আধিপত্য নির্মূল করা না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সংবিধান সংস্কারে গণভোট জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে অনুষ্ঠিত না হলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ভূলুণ্ঠিত হওয়ার শংকা রয়েছে। জনআকাঙ্ক্ষার নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের বিরুদ্ধে যারাই অবস্থান গ্রহণ করবে জনগণ গণভোটে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করবে। আমরা অবিলম্বে নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি ও জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোট আয়োজনের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।

বৈঠকে জাতীয় সংস্কারের লক্ষ্যে গণভোটে ‘হ্যাঁ’ এর পক্ষে প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতিতে শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতি আর্থিক সহায়তার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়।

মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক নির্বাহী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ খালেকুজ্জামান, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, প্রচার সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক আবদুল করিম, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শায়খুল ইসলাম, খন্দকার সাহাব উদ্দিন আহমদ, মুফতি আবদুল হক আমিনী, বোরহান উদ্দিন সিদ্দিকী, জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আলহাজ্ব নুর হোসেন, হাফেজ নুরুল হক, মাওলানা ফারুক আহমদ ভূইয়া, মাওলানা নজরুল ইসলাম মাজহারী, আবুল হোসেন, মাওলানা আজিজুল হক, আমির আলী হাওলাদার, এডভোকেট রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।