রাজনীতি
বিশিষ্টজনদের সম্মানে শেরেবাংলা নগরে জামায়াতের ইফতার
জাতি ঐক্যবদ্ধ না হলে স্বৈরাচার ছিদ্রপথ খুঁজবে -ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম
বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন,
Printed Edition

বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, আল কুরআনকে বাদ দিয়ে মানব রচিত মতবাদে সমাজ তথা রাষ্ট্র গঠন করা হলে সে সমাজ কিংবা রাষ্ট্রে কোনদিন শান্তি আসবে না। কারণ, মানবতার মুক্তির মহাসনদ হিসাবে মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল করা হয়েছে। তাই মাহে রমজানের প্রকৃত শিক্ষা কাজে লাগে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে প্রত্যয় গ্রহণ করতে হবে। তিনি কুরআনের রাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁও-এ সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমিউনিটি সেন্টারে শেরেবাংলা নগর উত্তর থানা জামায়াত আয়োজিত যাকাতের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা এবং ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। থানা আমীর আব্দুল আউয়াল আজমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মঞ্জুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে প্রধান আলোচক হিসেবে যাকাতের তাৎপর্য বিষয় আলোচনা পেশ করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাইখ ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, রমযান হলো এমন এক বরবকপূর্ণ মাস যে মাসে আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ আল কুরআন অবতীর্ণ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘রমযান মাস হলো সে মাস, যে মাসে কুরআন নাজিল করা হয়েছে। যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ অনুসারীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশক; আর ন্যায়-অন্যায়ের মধ্যে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে এ মাসটি পাবে, সে রোজা রাখবে....। (সূরা আল বাকারাহ, আয়াত-১৮৫)। হাদিসে কুদসীতে বলা হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘বান্দার সব আমল তার নিজের জন্য; কিন্তু শুধু রোজা আমার জন্য। তাই আমি নিজ হাতেই এর প্রতিদান দেব।’ (সহীহ আল বোখারি, হাদিস নং-১৯০৪)।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসীবাদের পতন হলেও ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি বরং অর্জিত বিজয়কে ব্যর্থ করার জন্য নানাবিধ অপতৎপরতা শুরু করেছে। পতিত স্বৈরাচার রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই আগামী নির্বাচনকে কার্যকর ও ফলপ্রসূ করতে রাষ্ট্রের প্রয়োজন সংস্কার করা জরুরি। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন ফ্যাসিবাদকে নতুন করে সুযোগ করে দিতে পারে। তাই এ প্রশ্নে আমাদেরকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অন্যথায় পতিতরা আবার ছিদ্রপথ খুঁজতে পারে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।