কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর মনোনয়ন পরিবর্তন করে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, এশিউর গ্রুপের চেয়ারম্যান শেখ সাদীকে প্রার্থী করার দাবিতে মৌন মিছিল করেছে কুমারখালীর বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা।

গতকাল শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী গোলচত্বর এলাকায় সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এই আয়োজন করে সাদী গ্রুপ। সেখানে তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মী ও নারী–পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেয়। তাঁদের হাতে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন ছিল।

কুমারখালীর ইতিহাসে এই প্রথম অনুষ্ঠিত মৌন মিছিলটি দুবার শহররের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শেষে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন উপজেলা অফিসের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

গত ৩ নভেম্বর বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন ঘোষণা করে। এতে কুষ্টিয়া-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হয় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীকে। মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই আনছার প্রমামানিক ও শেখ সাদীর সমর্থকেরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছে।

মৌন মিছিল শেষে তৃণমূলের নেতারা বলেন, মেহেদীকে পরিবর্তন করে শেখ সাদীকে মনোনয়ন না দিলে এই আসনে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয়ী করা সম্ভব হবে না। গ্রামের সাধারণ মানুষ সাদীকে ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছেন। যতক্ষণ মনোনয়ন পরিবর্তন করা না হবে, ততক্ষণ শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চলতেই থাকবে।

কুমারখালী উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে মেহেদী আহমেদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যিনি দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন না। নেতা-কর্মীদের বিপদে পাশে ছিলেন না। তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ায় অখুশি তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। দ্রুত তাঁর মনোনয়ন পরিবর্তন করে শেখ সাদীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হোক। তৃণমূল বিএনপির সব নেতা-কর্মী তারুণ্যের প্রতীক শেখ সাদীর পক্ষে। কাজেই সাদীকে মনোনয়ন দিলে এই আসনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত হবে।

বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান হাফিজ, সাইদুল ইসলাম, বকুল বিশ্বাস, আতিকুর রহমান সবুজ, শামীম ইব্রাহিম প্রমূখ মৌন মিছিলে নেতৃত্ব দেন।