প্রথম রোজায় এতিম ও ওলামা-মাশায়েখদের নিয়ে ইফতার করেছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। প্রথম এই ইফতারে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল রোববার ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে বিএনপি এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। ইফতারের প্রাক্কালে বাংলাদেশ শান্তি-সমৃদ্ধশালী হতে আল্লাহ রাব্বুল আ‘লামীন রহমান রহমত কামনা করে সকলকে দোয়া করার অনুরোধ জানান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
ইফতারে ফার্মগেইট ইসলামিয়া মিশন মাদরাসা এবং শান্তিনগর বাজার জাতীয় মুসলিম মাদরাসার কয়েকশ’ শিশু শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
ওলামা-মাশায়েখদের মধ্যে ছিলেন সুবহানবাগ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ মসজিদের খতিব মুফতি মহিউদ্দিন, জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা কাজী আবু হোরায়রা ও মিরেশ্বরাই দরবার শরীফের পীর মাওলানা আব্দুল মোমেন নাছেরী।
এছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহ উদ্দিন আহমেদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল বারী ড্যানি, জাতীয়তাবাদী উলামা দলের আহ্বায়ক কাজী মো. সেলিম রেজা ও সদস্য সচিব কাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই আয়োজনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান বলেন, আমরা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি। রমযান আমাদের শেখায় সংযম ও ধৈর্যশীল হতে। রমযান আমাদের শেখায় কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি। তিনি বলেন, খ্রিস্টান সম্প্রদায় সারাবিশ্বে তাদের বড়দিন একসঙ্গেই পালন করে। আমরা চিন্তা করে দেখতে পারি, সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ রোজা এবং ইদ একই দিনে পালন করতে পারে কি না। এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করার জন্য আমি আলেম-ওলামাদের অনুরোধ করব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, পবিত্র রমজান কিন্তু সবার ভাগ্যে জোটে না। পবিত্র গ্রন্থে লেখা আছে সৌভাগ্যবান তারাই যারা এই পবিত্র রমযান পায়। রমযানের অনেকগুলো মৌলিক বিষয় রয়েছে- সদা সত্য কথা বলা, সত্যের পথে থাকা, নিরপক্ষে থাকা এবং মানুষের পক্ষে কাজ করা।
এসময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, দেশের ভিতরে এবং বাইরে থেকে ওলামাদের সঙ্গে বিএনপির বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। এই বিভেদ ফাটল সৃষ্টি করবে। এই ফাটল সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে বিদেশি শক্তি প্রবেশ করবে। দেশটাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করবে। তিনি বলেন, এখন একটি নতুন স্লোগান বেরিয়েছে দেখলাম। আপনারা সেই স্লোগান শুনবেন এবং একটু সাবধান থাকবেন। সেই স্লোগান দেখলাম, কিন্তু আমিও বুঝিনাই এর অর্থ কী? আমি এখনো বুঝি নাই কাকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে। সেকেন্ড রিপাবলিক আমি এখনো বুঝি নাই।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, একটি বিশেষ উছিলা ধরে জাতির মধ্যে একটি বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। আপনাদের মতো (আলেম) এক শ্রেণির লোক ওটাকে বাতাস দিয়ে যাচ্ছে। দয়া করে আপনার একটু সামাল দেবেন।