জাতীয় ঐক্য প্রদর্শন করবার জন্য প্রধান কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা যে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সেটি সফল হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সব দিক দিয়ে এই সফর অবশ্যই সফল হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তিনি বাংলাদেশের কথা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। তাতে আমরাও শরীক হতে পেরেছি। শুক্রবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের টার্মিনালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সফরসঙ্গি হিসেবে নিউইয়র্ক যান। প্রধান উপদেষ্টা ২ অক্টোবর দেশে ফেরেছেন। বিএনপি মহাসচিব যুক্তরাষ্ট্রে দলীয় একটি অনুষ্ঠান শেষে একদিন পর দেশে ফিরলেন। প্রধান উপদেষ্টার এই প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের বার্তা একটাই, আমাদেরকে এখন গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন হবে, তাতে আমাদের নেতা তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেইভাবে প্রস্তুতি নেবো।
নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র উত্তরণ প্রক্রিয়ায় গোটা বিশ্বের সমর্থন রয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র উত্তরণের এই বিষয়টাতে গোটা পৃথিবীর সমর্থন রয়েছে। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বের সমর্থনটা এখানে সম্পূর্ণভাবেই রয়েছে।
জাতিসংঘের অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সাথে আপনার আলাপ হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সকলের সঙ্গেই আলাপ হয়েছে। আর যারা গিয়েছেন তাদের সঙ্গে তো অবশ্যই আলাপ হবে, এটাই তো স্বাভাবিক। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের যোগদানের সফর সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে আমরা জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে আমরা তার সফরসঙ্গি হয়েছিলাম এবং সেখানে আমাদের যতটুকু দায়িত্ব পালন করার কথা ছিলো সেই দায়িত্ব পালন করেছি। আমি মনে করি, আমাদের এই সফর সফল হয়েছে।
এই প্রথমবারের মতো অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তিনি জাতীয় ঐক্য প্রদর্শন করবার জন্য প্রধান কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সেদিক থেকেও এই সফর অবশ্যই সফল হয়েছে। বাংলাদেশের কথা বিশ্বের কাছে পৌঁছে গেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, নিউইয়র্কের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি যেসব সভা হয়েছে আমরা মনে করি এটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ভালো হয়েছে, এজ এ হোল গণতন্ত্রের জন্য ভালো হয়েছে।
নিউইয়র্কে বিমানবন্দরে অবতরণের পরে হেনস্তা হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এগুলোকে খুব বড় মনে করি না। এটা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের একটা কালচার এই সব ঘটনা তৈরি করা।