চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাইছে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা না করলে তারা নিজেরাই নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করবেন। অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জাপান সফরে বলেছেন, একটি দল ছাড়া কেউই ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন চান না। আগামী জুনের আগেই নির্বাচন হবে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেছেন। আগামী রমযানের আগে নির্বাচনের কথা বলেছে জামায়াতে ইসলামী। তবে নির্বাচনের পূর্বে তিনটি শর্ত পূরণের কথাও জানিয়ে দিয়েছেন দলটির আমীর ডা: শফিকুর রহমান। শর্তগুলো হলো- সংস্কার, ফ্যাসিস্টদের বিচার ও সঠিক নির্বাচন পদ্ধতি। অন্যদিকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার বিচার, বিভিন্ন ইস্যুতে সংস্কার শেষেই নির্বাচন দাবি করেছে ছাত্রদের দ্বারা গঠিত দল এনসিপি। তারা বলছে, কোন একটি দলের চাওয়ার উপর নির্বাচন দিতে হবে, সেটি মেনে নেয়া হবে না। সংস্কার এবং ফ্যাসিস্টদের বিচার দৃশ্যমান হবার পরই নির্বাচন দিতে হবে। ডিসেম্বরে নাকি জুনে নির্বাচন। সাম্প্রতিক সময়ে এ নিয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, অন্যান্য দল ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে আলোচনা তুঙ্গে। এ অবস্থায় নির্বাচন কবে হবে, এই প্রশ্নে অনিশ্চয়তা এখনও কাটেনি। কবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই প্রশ্ন এখন সামনে এসেছে।

সূত্র মতে, নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। কবে হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, এই প্রশ্নের এখনো স্পষ্ট কোনো উত্তর নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নিয়ে ঐকমত্য নেই। একাংশের মধ্যে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিও যেমন রয়েছে, তেমনি অন্য অংশের নেতারা এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরো সময় নিতে বলছেন। দোদুল্যমান অবস্থায়ও রয়েছে কিছু দল। নতুন ও ছোট দলগুলো দেরিতে নির্বাচনের পক্ষে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও এ বিষয়ে বিভক্ত। এক পক্ষ বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজই হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তা করে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে সরকারের দায়িত্ব হস্তান্তর করা। অন্য পক্ষে বলা হচ্ছে, নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসিনা ও তাদের দোসরদের বিচার সম্পন্ন হতে হবে। রাষ্ট্রের সংস্কারও সম্পন্ন করতে হবে। আবার কারো মত, গণহত্যার বিচার ও সংস্কারকে নির্বাচনের বিপরীতে দাঁড় করানোর কোনো সুযোগ নেই। রাজনৈতিক দলগুলো যে যার অবস্থান থেকে সুবিধামতো প্রস্তাব রাখছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অবস্থার অবসান অন্তর্বর্তী সরকারকেই করতে হবে। বিএনপি ও তাদের মিত্র দলগুলোর বাইরে নতুন এবং ছোট দলগুলো মনে করছে দ্রুত নির্বাচন তাদের জন্য সুবিধাজনক হবে না। আর বিএনপি ও তাদের মিত্র দলগুলো মনে করছে তাদের ক্ষতি এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্যই নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিলম্ব করা হচ্ছে। এমনকি বিএনপি নেতারা বলছেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশে আর নির্বাচন হবে না। তবে কিসের প্রেক্ষিতে দলটি এই আশংকা করছে সেটি বলেনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আগামী ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত সময়ের কথা বলেছেন। সব শেষ বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ সময়সীমার কথা বলেন। এছাড়া বর্তমানে জাপানে সফরে থেকেও তিনি একই কথা বলেছেন। জাপানের টোকিও‘র ইম্পেরিয়াল হোটেলে ৩০তম নিক্কেই ফোরামে ‘ফিউচার অব এশিয়া’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস বলেন, আমরা জনগণকে বলেছি, নির্বাচন এই বছরের শেষে ডিসেম্বরে অথবা সর্বোচ্চ জুনে অনুষ্ঠিত হবে। তবে কিছু রাজনীতিবিদ নির্বাচনের জন্য জুন পর্যন্ত অপেক্ষা কেনো, ডিসেম্বরে নির্বাচন কেনো নয় সেই প্রশ্নও তুলেছেন। দেশের সব রাজনৈতিক দল নয়, শুধু একটি দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বিবিসিকে বলেছেন, নির্বাচন কোনোভাবেই জুনের পরে যাবে না। যে যা-ই বলুক না কেন, এটা পুরো জাতির প্রতি প্রধান উপদেষ্টার অঙ্গীকার। ডিসেম্বর থেকে জুন মানে হচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। ডিসেম্বরে সম্ভব হলে ডিসেম্বরে, জানুয়ারিতে সম্ভব হলে জানুয়ারিতেই নির্বাচন হবে বলে বিএনপিকে বোঝানো হয়েছে।

অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা সুনির্দিষ্ট করে নির্বাচনের ডেটলাইন না দেওয়ায় তারা একেবারেই সন্তুষ্ট নন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে রমযান, তারপর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা এবং পরে বর্ষাকালের কথা স্মরণ করিয়ে ডিসেম্বরের পর নির্বাচন হওয়া কঠিন বলে জানিয়েছে বিএনপি।

দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে চলতি বছরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় সমমনা ইসলামী দলগুলো। এই দলগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও নেজামে ইসলাম পার্টি। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বগুড়ায় প্রতিনিধি সভায় বলেন, নির্বাচন নিয়ে অস্পষ্টতা ও বিভ্রান্তি অপ্রয়োজনীয় বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের এক ধরনের অনাকাংখিত দূরত্বও তৈরি হচ্ছে।

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি বলেছিলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করলে বর্ষা, বিভিন্ন ধরনের ঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। তাই আগামী রমযানের আগেই নির্বাচন চায় জামায়াতে ইসলামী। তিনি বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে। এগুলো হলো সংস্কার, ফ্যাসিস্টদের বিচার এবং সঠিক নির্বাচন পদ্ধতি। নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর সময়সীমা নির্ধারণ কঠিন নয়। এই সময়ের আগে বা পরে নির্বাচন হতে পারে, যদি শর্তগুলো পূরণ হয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহবায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, প্রশাসন অনেক জায়গায় বিএনপির পক্ষে কাজ করছে, এ ধরনের প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এনসিপি জাতীয় নির্বাচনের আগে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে যেভাবে রাজনৈতিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে তাতে সংস্কার বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। রাজনৈতিক চাপে সংস্কারকে অসম্পন্ন রেখে নির্বাচন আয়োজন করলে শত শত শহীদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করা হবে। অভ্যুত্থানে আহতরা এখনো হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।

সাবেক সচিব ও রাজনীতি বিশ্লেষক আবু আলম শহীদ খান দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার এই সরকারকে করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করতে হলে করতে হবে। নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে যৌক্তিক সময় নির্ধারণ করতে হবে। নির্বাচন ডিসেম্বর, জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারিতেও হতে পারে। তাতে কোনো অসুবিধা আছে বলে মনে হয় না। তবে এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐকমত্যে আসতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক শহীদুজ্জামান মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের যে সময়সীমার কথা বলেছে, তাতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি নেই। তিনি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ও তাদের দোসরদের বিচার সম্পন্ন হতে হবে। আমার মনে হয়, দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর কোনো চাপ নেই।

রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (রাওয়া) সভাপতি কর্নেল (অব.) আব্দুল হক বলেন, আমি নিজে জুলাই বিপ্লবে অংশ নিয়েছি। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছি। আমি ইউনূসকে বিশ্বাস করি এবং মনে করি যে উনার মতো যোগ্য নেতা বিশ্বে বিরল। আমরা তাকে আমাদের ভেঙে পড়া দেশটাকে মেরামত করার দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যতটা সময়ের কথা বলেছেন, তার অতিরিক্ত এক দিনও সময় নেবেন না। আমরা এ বিষয়টি তার ওপরই ছেড়ে দিতে পারি।

নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব এবং সদ্য সাবেক নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য জেসমিন টুলী বিবিসিকে বলেন, একটা ইলেকশন করতে গেলে অনেককিছু বিবেচনায় নিতে হবে। প্রথমত, স্কুল ফ্রি পাবো কি-না, শিক্ষকরা ফ্রি থাকবেন কি-না। কারণ ভোটগ্রহণের জন্য কেন্দ্র হিসেবে স্কুল এবং কর্মকর্তা হিসেবে শিক্ষক লাগে। বড় ধরনের কোনো উৎসব আছে কি-না। আবহাওয়া দেখতে হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন বা দলগুলো কী চায়।

সূত্র মতে, বিএনপি ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়। কারণ এরপরে নির্বাচনের যে কথা বলা হয়, বিএনপি সেটাকে মনে করে ‘নির্বাচন বিলম্বিত করার ষড়যন্ত্র’। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন নেয়ার কোনো যুক্তিই নেই। ডিসেম্বরের পরে নিয়ে গেলে তো আবহাওয়া অবশ্যই নির্বাচনের উপযোগী নয়। গরমের মধ্যে কীভাবে প্রচারণা হবে, মানুষ অংশ নেবে কীভাবে? মানুষের মৃত্যুও তো হতে পারে। দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশে আর নির্বাচনই হবে না। গেল বুধবার ঢাকায় এক সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচন হতে হবে। তিনি জোর দিয়ে আবারো বলেন, ডিসম্বেরের নির্বাচন হবে, নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নিন। নির্বাচন নিয়ে আরও একধাপ এগিয়ে বক্তব্য রেখেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শাসুজ্জমান দুদু। তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা না করলে আমরা নিজেরাই সিডিউল ঘোষণা করে দিব। নির্বাচন ডিসেম্বরের হতে হবে।

আবার নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কারের ওপর জোর দিচ্ছে এনসিপিসহ ইসলামপন্থি কিছু দল। যার কারণে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির শক্ত অবস্থানকে “সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশল” হিসেবেও দেখছেন কেউ কেউ। নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি বলছে, যেকোনো গণতান্ত্রিক শক্তি বা দল নির্বাচনের দাবি করতে পারে। তবে নির্বাচনের আগে সংস্কারের রোডম্যাপ এবং বিচারকে দৃশ্যমান করা গুরুত্বপূর্ণ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের জন্য কেন চাপ বাড়াতে চাইছে বিএনপি, কতটা চাপ তৈরি করতে পারবে তারা? নির্বাচনের সময়ের ব্যাপারে চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়ে এগোতে গিয়ে রাজনীতিতে বিএনপি একা হয়ে পড়বে কিনা, এই প্রশ্নেও আলোচনা রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। কারণ বিএনপির এই অবস্থানের সঙ্গে নেই বর্তমানে রাজনীতিতে প্রভাবশালী অন্য দলগুলো, অর্থাৎ জুলাই গণ-অভ্যত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপিসহ আরও কয়েকটি দল। রাজনীতিকদের অনেকে এবং বিশ্লেষকেরা বলছেন, আপাতত উত্তেজনা থেমেছে। কিন্তু এই সরকারের অংশীজনদের মধ্যে বিএনপির সঙ্গে সরকারের দূরত্ব কমেনি, রয়ে গেছে অস্বস্তি।