বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি নিয়ে কোনো টালবাহানা সহ্য করা হবে না। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার মিথ্যা ও সাজানো মামলায় জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে বিগত ১৩ বছর যাবৎ কারাগারে আটক রেখে অমানবিক কষ্ট দিয়েছে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর বৈষম্যবিরোধী অনেক রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অথচ এটিএম আজহারুল ইসলাম এখনো কারাগারে বন্দি রয়েছেন। এতে দেশবাসী হতবাক ও বিস্মিত। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি যদি এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়া না হয়, তবে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে এটিএম আজহারুল ইসলামকে যে কোনো মূল্যে মুক্ত করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা মহানগরী উত্তরের মোহাম্মাদপুর থানা জামায়াত আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হক। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরার সদস্য ও মোহাম্মাদপুর পূর্ব সাংগঠনিক থানা আমীর জনাব মশিউর রহমান, থানা সেক্রেটারি জনাব আনিসুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন ৩২ নং উত্তর ওয়ার্ড এর সভাপতি আনম আবদুল ওহাব এবং সঞ্চালক ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক, সভাপতি, ৩২ দক্ষিণ ওয়ার্ড এবং ইসমাইল হোসেন পাটওয়ারী, সভাপতি, ৩২ মধ্য ওয়ার্ড।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকারের কাজ স্থবির হয়ে আছে। দেশের নাগরিকগণ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই জনআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের আগে অবশ্যই স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি বলেন, সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দুর্নীতির সম্ভাবনা অনেক কম। বর্তমানের নির্বাচনে যেভাবে টাকা বিতরণ ও ব্যালট ডাকাতিসহ নানা ধরনের দুর্নীতি হয়ে থাকে তা বন্ধ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্যই দেশের মানুষ সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বশীল নির্বাচন ব্যবস্থা চায়। এ নির্বাচন ব্যবস্থায় জনগণ কোন ব্যক্তিকে ভোট না দিয়ে দল ও ঐ দলের আদর্শের পক্ষে ভোট দেয়। এ ব্যবস্থার মাধ্যমেই সঠিকভাবে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটতে পারে।